বিএনএ, কুমিল্লা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগের পক্ষে আরফানুল হক রিফাত দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি) পেয়েছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীক। এ ছাড়া মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার (বিএনপি) ঘোড়া, কামরুল আহসান বাবুল হরিণ এবং ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ মে) প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দ দেয় নির্বাচন কমিশন। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আচরণ বিধি-মেনে প্রচার চালাতে পারবেন। কাউন্সিলার প্রার্থীরা প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করতে করতে স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় ফিরে যান।
গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৫ জুন এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। একই তফসিলে ছয়টি পৌরসভা ও ১৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদেও ভোট হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ১৯ মে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাইয়ে ৬ মেয়র প্রার্থীসহ মোট ১৫৪ জনকে বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১১ জন ও ৩৭ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রয়েছেন। যাচাই বাছাইয়ে ১০ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করার পর আপিলের মাধ্যমে ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন।
এর আগে গত ১৭ মে ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। ওইদিন ৮ মেয়র প্রার্থীসহ মোট ১৬৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। বাকিদের মধ্যে ১২০ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৩৮ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ছিলেন।
২০১২ সালের নির্বাচনে সাক্কুর কাছে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা প্রয়াত আফজল খান পরাজিত হন। ২০১৭ সালে তার মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাও হারেন সাক্কুর কাছে। সীমা বর্তমানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য।
২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ সিটিতে সে সময় মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। বর্তমানে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ