26 C
আবহাওয়া
১০:৫৭ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রোহিঙ্গাদের কাছে ক্ষমা চাইলো মিয়ানমারের ছায়া সরকার

রোহিঙ্গাদের কাছে ক্ষমা চাইলো মিয়ানমারের ছায়া সরকার

নারী,যুব ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী সুসানা হ্লা হ্লা সোই

বিএনএ, বার্মা(মিয়ানমার) ডেস্ক : প্রায় তিনমাস হতে চললো বার্মায়  তীব্র অসহযোগ আন্দোলন চলছে।গত ১ফেব্রুয়ারি হতে দেশটির প্রতিটি প্রদেশ ও অঞ্চলে চলতে থাকা তীব্র প্রতিরোধ আন্দোলনে এই পর্যন্ত ৭৩০জনেরও বেশি মানুষ গুলি ও নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছে।

গত ১৬ এপ্রিল দেশটির সেনা শাসন বিরোধী সব রাজনৈতিক দল, জোট ও প্রাদেশিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন করা হয় ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্ণমেন্ট(এনইউজি)নামে বিকল্প ছায়া সরকার।

এই সরকারের নারী,যুব ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী সুসানা হ্লা হ্লা সোই রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুগোষ্টির নিকট প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন।অংসান সুকির নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে মানবাধিকার বিষয়ে অবহেলার জন্য তিনি আন্তরিক দু:খ প্রকাশ করেন সকল ক্ষুদ্রজাতি গোষ্টির নিকট।

মিয়ানমারের ছায়া সরকারের(এনইউজি) এই মন্ত্রী রেকর্ডকৃত প্রকাশ্যে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় গত বৃহস্পতিবার উক্ত ক্ষমা চান।তিনি বলেন,আমি ব্যক্তিগতভাবে সকল ক্ষুদ্রনৃগোষ্টি এবং রোহিঙ্গা মুসলিম ভাই বোনদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি এই জন্য যে, একজন সংসদ সদস্য হিসেবে বিগত ৫বছরে আমি সংসদে একবারের জন্যও আপনাদের পক্ষে কোন কথা বলতে পারি নি’।

আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস্ ফর হিউম্যান রাইটস(এপিএইচআর)এবং এনজিও এডভোকেসি গ্রুপ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন চলাকালে হ্লা হ্লা সোই আরো বলেন, ‘আমি আসলেই খুব দু:খিত সে জন্য’।

এর আগে একই সরকারের আরেকজন মন্ত্রী,আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ও সরকারের মুখপাত্র ড. সা সা ও অনুরুপ দু:খ প্রকাশ করে এক বিবৃতি প্রদান করেন।

ড. সা সা বলেন, সামনের দিনগুলোতে মিয়ানমারের সব জাতিগোষ্টিগুলোর প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে এনইউজি পরিচালিত হবে যাতে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ভাইবোনদের জন্য সুবিচার করা হবে।

.প্রসঙ্গত: রোহিঙ্গাজাতি গোষ্টি প্রায় একশত বছরধরে বুড্ডিষ্ট অধ্যুষিত মিয়ানমারে নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে।সামরিক সরকারগুলো তাদেরকে সেদেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়াতো দূরের কথা, কোনরকম সুযোগসুবিধা দিতেও চায় নি। তারা শিক্ষা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ২০১৭সালে দেশটির সেনাবাহিনী জাতিনিধনমূলক অভিযান চালিয়ে কয়েকলক্ষ রোহিঙ্গাকে হত্যা, আহত, ধর্ষণ করেছে। জোরপূর্বক তাদেরকে সমুদ্রপথে বাংলাদেশে ও অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।হাজার হাজার নিরীহ রোহিঙ্গা সাগরে ডুবে মরেছে। মালয়শিয়া,ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে অনেক রোহিঙ্গা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে রয়েছে। সর্বশেষ সামরিক সরকার রোহিঙ্গাদের সব সময় বাঙ্গালিজ বলে বিদ্রুপ করে থাকে।

রোহিঙ্গারা কয়েকশ বছর ধরে দেশটিতে ব্যবসাবাণিজ্য জনিত কারণে সেখানে বসবাস করছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে গেছে বলে দাবি করলেও প্রকৃত সত্য হলো দু’তিনশ বছর আগে বাংলাদেশ নামক কোন রাষ্ট্র ছিল না।বৃটিশ শাসনামলে ইংরেজরা ভারতবর্ষ ও মিয়ানমার শাসন করতেন। সে সময় আরবদেশ ও ভারতীয়রা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য দেশটিতে বসবাস করতে শুরু করেন।বৃটিশ শাসনের পূর্বেও মিয়ানমারে(বার্মায়) মুসলমানদের বসবাস ও যাতায়াত ছিল।সূত্র: রেডিও ফ্রি এশিয়া

বিএনএনিউজ২৪/এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ