বিএনএ, ঢাকা : চলতি মাসের ২৬ দিনেই একক মাসের প্রবাসী আয়ে আগের রেকর্ড অতিক্রম করে ২৯৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ জমা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো মাসের সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২৪ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। গত ২৫-২৬ মার্চ দেশে এসেছে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াতে পারে। ফলে মাসের হিসাবে অনেক বড় ব্যবধানে রেকর্ড হতে যাচ্ছে।
গত বছর মার্চের ২৬ দিনে এসেছিল ১৬১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৮২ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর পুরো মাসে এসেছিল ২০০ কোটি ডলারের কম।
এর আগে, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের দায় বাবদ ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে গত ৯ মার্চ ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে নামে। পরিশোধের আগে রিজার্ভ উঠেছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে।
প্রবাসী আয় হলো দেশে বৈদেশিক মুদ্রা জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। এর বিপরীতে কোনও বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয় না, বা কোনও দায়ও পরিশোধ করতে হয় না। অপরদিকে রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে বিদেশি মুদ্রা খরচ হয়। বিদেশি ঋণ পরিশোধেও ডলার প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বাড়লে দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসবে, মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। বিশেষ করে ঈদ সামনে রেখে এই উচ্চমাত্রার রেমিট্যান্স দেশে খুচরা বাজার ও ভোক্তা ব্যয়ের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।