বিএনএ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের ৩৩ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতংকের নাম নবী হোসেন ও আবদুল হাকিম।দীর্ঘ পাঁচ বছর চেষ্টা করে ও এ দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করতে পারেননি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তে মাদক, অস্ত্র, সোনা চোরাচালানসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে নবী হোসেনকে ধরিয়ে দিতে গত বছর ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে বিজিবি।
উখিয়া টেকনাফের আশ্রয় শিবিরে প্রায় সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। সংঘর্ষে জড়াচ্ছে মায়ানমারের একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ঘর থেকে তুলে নিয়ে, হাট বাজারে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। এর সাথে রোহিঙ্গা বস্তি জ্বলছে নাশকতার আগুনে।এ সব কিছুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে নবী হোসেন ও আবদুল হাকিমকে।
আইন শৃংখলা বাহিনীর দেয়া তথ্যানুযায়ী নবী হোসেনের হাত ধরেই ক্যাম্পে ঢুকছে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথসহ অস্ত্রের বড় বড় চালান। আর অপহরণ, মুক্তিপণ ডাকাতি,মানবপাচার ও মাদকের বিস্তার হচ্ছে ক্যাম্পে আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে।
এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে প্রতিমাসে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার ইয়াবা ও আইস ঢুকছে ক্যাম্প সমূহে।এর বেশীর ভাগ আসছে নবী হোসেনের ইশারায়।তার এ অবৈধ কাজের সহযোগী মায়ানমার সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনসহ (আরএসও) আর অন্তত ১৭ টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্টী।বিনিময়ে তারা পায় মাদক ও অস্ত্র বিক্রির ভাগ।
গত সাড়ে পাঁচ বছর র্যাব,পুলিশ, বিজিবি এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অর্ধশতাধিক অভিযান চালিয়ে ও নবী হোসেন এবং তার অন্যতম সহযোগী আবদুল হাকিমকে ধরতে পারেনি। তবে একাধিক বন্দুক যুদ্ধে তাদের ২১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
উখিয়ার বালু খালী ও কুতুপালং লম্বাবিল একাধিক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাদকের টাকা ভাগাভাগি ও আশ্রয় শিবিরে আদিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নবীহোসেন বাহিনী ও মায়ানমার সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) গোলাগুলি সংঘর্ষ চলমান আছে।তাই আরসাকে ঠেকাতে নবীহোসেন ও আবদুল হাকিমের পক্ষ হয়ে মাঠে নেমেছে আরএসও। এর বাইরে ও মাষ্টার মুন্না গ্রুপ,ইসলাম, নবাব আলী,ফরিদ,আসাদ, জুবায়ের, কামাল হোসেন, ছালামত উল্লাহ, জাবু,মুমিন,জাকির ও শফিউল্লাহ বাহিনী।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দায়িত্বরত ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আমীর জাফর বলেন, নবীহোসেন ও হাকিম ডাকাতকে ধরতে এবিপিএনের পাশাপাশি, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা যৌথভাবে অভিযান চালাবো।কোন অপরাধী পালাতে পারবে না।ধরা তাদের পড়তেই হবে।
বিএনএনিউজ/এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন/এইচ.এম।