20.7 C
আবহাওয়া
৬:০৭ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » এশিয়ার বৃহত্তর দৃষ্টিনন্দিত ২০১ গম্বুজ মসজিদ!

এশিয়ার বৃহত্তর দৃষ্টিনন্দিত ২০১ গম্বুজ মসজিদ!

এশিয়ার বৃহত্তর দৃষ্টিনন্দিত ২০১ গম্বুজ মসজিদ!

বিএনএ, টাঙ্গাইল : ডিজিটাল বাংলাদেশে, মানুষ যখন জাগতিক চিত্র -বিনোদনের জন্য। বিভিন্ন নামি-দামি সুটিং স্পট, রিসোর্ট সেন্টারে বেড়াতে যান। তখন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ইসলামি সংস্কৃতির ঐতিহ্য। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তর। টাঙ্গাইল -গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ মসজিদটি সেরা বিনোদন কেন্দ্রের পরিচিতি পেয়েছে।

৭১- এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে এই মসজিদটি নিমাণ’ করা হচ্ছে। প্রথমে এই মসজিদ তৈরি করতে গেলে। এলাকার লোকজন অনেক সমালোচনা শুরু করে এবং নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় আয়োজক কমিটিদের। সব আলোচনা – সমালোচনাকে পিছনে ফেলে মসজিদ তৈরির কাজ এগিয়ে চলা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই এখন আয়োজক কমিটিরদের
সহযোগিতা প্রদান করছেন ।

মসজিদটি বাহিরে দেখতে যেমন সুন্দর মন্ডিত। তার চেয়ে বেশি সুন্দর মসজিদের ভিতরের দৃষ্টি নন্দিত কারুকাজ। এক পলক দেখলেই মনে হয়
এ যেন এক মোগল রাজ প্রাসাদ। মসজিদের প্রতিটা ইট,বালি, রড, সিমেন্ট, বিশেষ ভাবে তৈরি করে ব্যবহার করা হয়েছে। এর দেয়ালে এবং ফ্লোরে বিশেষ এক ধরনের মার্বেল ট্রাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নিমাণ’ সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে ।
দেশের নামি-দামি ইন্জিনিয়ার এবং নির্মাণ শ্রমিকরা এই মসজিদ তৈরিতে কাজ করছেন ।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান মিসেস রিজিয়া খাতুন ।
মসজিদ নির্মাণ কাজ শুভ উদ্বোধন করেন। প্রথম দিকে এই মসজিদ তৈরির নির্মাণ ব্যয় কয়েক লাখ ধরা হলেও। বর্তমানে কয়েক কোটি টাকা চলে গেছে। আরো কত কোটি টাকা
এর নির্মাণ ব্যয় হবে এটা কেউ সঠিক ভাবে বলতে পাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ জানান, ৩০১ ফুট উচ্চতার এই মসজিদটিতে ২০১ টি
গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজ আরো বাড়ানো যায় কি না এরও সম্ভাবো যাচাই করা হচ্ছে।

মসজিদ কমিটির তথ্যমতে, গোপালপুরের এই মসজিদটি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম দৃষ্টি নন্দিত মসজিদের পরিচিত পাওয়ার জন্য। তাদের সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা রয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সকল মহলের সাহায্য – সহযোগিতায়। দিরে- দিরে তারা পৌঁছাতে চান সেই লক্ষ পূরণের সু-উচ্চ স্থানে।

জানাগেছে, এখানে প্রতিদিন শত-শত লোকজন ব্যক্তিগত ভাবে আবার কেউ – কেউ পরিবারসহ মসজিদের অপরুপ সুন্দরের চিত্র দেখার জন্য সকাল-সন্ধ্যা ভীড় জমাচ্ছে। টাঙ্গাইল জেলার বাহিরে,পাশের জেলা ময়মনসিংহ, গাজীপুর,ঢাকা,শেরপুর,জামালপুর, নেএকোনাসহ আরো অনেক এলাকার লোকজন এখানে আসছেন। এখানে আসার জন্য যাতায়াত ব্যবস্থাও অনেক ভাল। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, বড় বাস সার্ভিসেও পরিবহন সুবিধা রয়েছে ।

সরেজমিনে, শুক্রবার (২৬ ) মার্চ বিকালে গাজীপুর থেকে আসা মোঃ আরিফুর ইসলাম জানান, এখানে না আসলে ইসলামি সংস্কৃতির ঐতিহ্য বুঝাতে পারতেন না। তিনি বলেন, মানুষ
টাকা খরচ করে অযথা বিদেশে যায়। তার মতে, এখানে আসলে ইসলাম এবং ইসলামি সংস্কৃতির
প্রতি মানুষের গভীর ভালবাসার প্রকাশ পাবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেন, তার মায়ের স্বপ্ন ছিল এখানে বড় আকারের একটা মসজিদ নিমার্ণের জন্য। মায়ের সোনালি সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য এত বিশাল নিমার্ণ। তিনি বলেন, ভারতের কুতুব মিনারের আকৃতি ধারণ করার মতো কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিএনএনিউজ/ এম. এস. রুকন/ এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ