বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে দেয়াল তুলে অবরোধ দিয়েছে হেফাজত। মাদ্রাসার সামনে ইটের দেয়াল তুলে সেখানে বিক্ষোভ করছে তারা। এতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে। হাটহাজারী, রামগড়সহ এই পথ দিয়ে চলাচল করা মানুষকে চরম বিপাকে পড়েছে। বিকল্প পথ দিয়ে সবাইকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। শুক্রবার আড়াইটা থেকে চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এ পথটি বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় মাদ্রাসাছাত্ররা সড়কটি অবরোধ করে রাখে। এ ছাড়া হাটহাজারী এলাকার প্রধান সড়কের সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।হাটহাজারী বাজারের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত আড়াইশ র্যাব, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিজিবির ১০০ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম এলাকায় সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা মিছিল বের করে এবং থানা ও আশপাশের কয়েকটি সরকারি অফিসে হামলা চালায়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ পালটা গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নয়জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) আনা হয়।
তাদের মধ্যে চারজনকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা হলেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের রবিউল ইসলাম (২২), মাদারীপুরের মেহেরাজুল ইসলাম (২২), হাটহাজারীর মো. জামিল (২০) ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের আবদুল্লাহ মিজান (২৩)।
হতাহতদের চমেক হাসপাতালে আনার পর একদল বিক্ষুব্ধ যুবক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে হতাহতদের দেখতে হাসপাতালে যান হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।
বিএনএ/ ওজি