ইতালি (রোম), ২৭ মার্চ : ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে গতকাল মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযথ মর্যাদা ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ ও প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা সম্প্রচার করা হয়। রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথি, কূটনৈতিক কোরের সদস্য এবং প্রবাসী বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দের অনলাইন উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে সম্প্রতি স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এর উদ্বোধন করেন।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন ইতালিতে নিযুক্ত হলি সি এর অ্যাপোস্টলিক নুনসিও ও কূটনীতিক কোরের ডিন মনসাইনিয়র এমিল পল সেরিং, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজাতা, রোমে জাতিসংঘের সংস্থাসমূহে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের স্থায়ী প্রতিনিধি থানাওয়াত তিয়েনসিন, রোমে ভারতীয় দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান নীহারিকা সিং এবং ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া অধিদপ্তরের প্রধান কাউন্সেলর জিয়ানপাওলো নেরি।
আলোচকগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং বিগত ৫০ বছরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও তাঁরা বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করেন এবং দূতাবাসে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও অসাধারণ জীবন সম্পর্কে দর্শনার্থীরা ও নতুন প্রজন্ম জানার সুযোগ পাবেন বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছে লা সাপিয়াঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগও।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ইতালির রাষ্ট্রপতি ও সার্বিয়ার রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে এবং মন্টেনিগ্রোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করেছেন। রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালকও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। একই সাথে তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের ভূমিকার কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কাজ শুরু করেছিলেন কিন্তু অল্প সময়ে তিনি এ কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বৈশ্বিক পরিমন্ডলে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে মর্মে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুজিববর্ষে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হওয়ার চুড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনের পথে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।