বিএনএ, ঢাকা : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নজির হয়ে উঠেছে। মানবিকতা ও উদারতার উদাহরণ তৈরি করেছে দেশটি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মুজিব চিরন্তন উৎসবের সমাপনীতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে শুক্রবার শুভেচ্ছাবার্তা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্টজো বাইডেন।
জো বাইডেন বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে মানবাধিকারের এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের জনগণের জন্য বাংলাদেশ একটি উদাহরণ।
এসময় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দুই দেশের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করে একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শুভেচ্ছাবার্তাও প্রচার করা হয়।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে একজন অসাধারণ রাজনৈতিক নেতা অভিহিত করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই দেশের বন্ধুত্বের ঐতিহাসিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় গঠনমূলক এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদী।
বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্রুত অগ্রসর হওয়ার দিকটি তুলে ধরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন। ১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশে ফেরার সময় বঙ্গবন্ধুর যুক্তরাজ্য সফরের কথা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি এদেশের মানুষের অসাধারণ অর্জনকে নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, দুই দেশের ইতিহাসগত এবং ঐতিহ্যগত সামঞ্জস্য থাকলেও ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদী।
বিএনএনিউজ/জেবি