বিএনএ, গাজীপুর: ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। চলছে শেষ মুহূর্তের ধোঁয়ামোছা আর কিছু অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে আয়োজকরা বলছেন, প্রায় ৫০ লাখ লোকের সমাগম হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে।
সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের আশায় দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী। কেউ নিচ্ছেন বাঁশ, কেউবা দড়ি দিয়ে বাঁধতে ব্যস্ত সর্বশেষ খুঁটিটি।
সরেজমিনে গিয়ে ইজতেমা মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মূলমঞ্চের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। শেষ মুহূর্তে চলছে ধোয়ামোছার কাজ৷ মঞ্চের কাজ যেটুকু বাকি রয়েছে, তা-ও শেষ মুহূর্তে সেরে নিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। ১৬০ একরের বিশাল ময়দানে টানানো হয়েছে শামিয়ানা। খুঁটিতে লাগানো হয়েছে মাইক, সংযোগ দেয়া হয়েছে বিদ্যুতের৷ প্রতিবারের মতো নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। দেশি-বিদেশি মেহমানদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেই চেষ্টাও করে যাচ্ছেন মুসল্লিরা।
আয়োজকরা জানান, ইজতেমার প্রথম পর্বে প্রায় ১২ হাজার বিদেশি অতিথি যোগ দেয়ার কথা রয়েছে৷ তাদের থাকা-খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে টিনের তৈরি অস্থায়ী শেড। এ ছাড়া ময়দানের পশ্চিম পাড়ের কামারপাড়া এলাকায় মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রস্তুত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী সেতু।
আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ৩ দিনের দ্বিতীয় পর্ব।
২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা। আগত মুসল্লিরা জেলাওয়ারী খিত্তায় অবস্থান করবেন। প্রতি বছরের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে বাংলা ও আরবি ভাষায় তরজমা করা হবে।
বিএনএ/এমএফ/ হাসনা