বিএনএ,চট্টগ্রাম:চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণকালে নগরীতে অঘোষিত বন্ধ ছিল।যদিও নির্বাচন কমিশন বলেছিল,ভোট গ্রহণের দিন অফিস-আদালত চলবে এবং মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া অন্যসব যানবাহন চলাচল করবে।কিন্তু হয়েছে তার উল্টোটা।
বুধবার সকাল থেকে নগরীর বিপনী বিতান ও বেশিরভাগ দোকান পাট বন্ধ ছিল।সড়কগুলোও অনেকটা ফাঁকা।তার কারণ সকালে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি বের হলেও সেগুলো আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করায় পরবর্তীতে মানুষ বাসা-বাড়ি থেকে আর বের হননি।
সরকারী অফিস খোলা থাকলেও কাজ হয়নি।সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে এসে হাজিরা দেয়ার পর গল্পগুজবে মেতে ওঠেন।বেসরকারী ব্যাংকগুলোতে সীমিত আকারে লেনদেন হয়েছে।তবে,বেসরকারী অফিসগুলো খুলেনি।
সড়কে হাতেগোনা গণপরিবহন চলাচল করেছে।তাতে গাদাগাদি করে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করেছেন।পাশাপাশি গণপরিবহনগুলো এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ আদায় করেছে বাড়তি ভাড়া।নগরীতে যেকটি বাস চলাচল করেছে সেগুলোতে ভাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। সেইসঙ্গে অন্যান্য দিনের মতো আশপাশের উপজেলাগুলো থেকেও গণপরিবহন নগরীতে প্রবেশ করেনি। নগরীর প্রবেশ মুখগুলোতে আইন শৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারী ছিল। বসানো হয় চেক পোস্ট।
এদিকে,বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও ইভিএম মেশিন ভাংচুরের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।এখন চলছে গণনা। ২০২০ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে নির্বাচনের আগে তা স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বুধবার ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন নির্ধারণ করা হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি