বিএনএ.ডেস্ক: জ্বালানী খাতে দেশের অন্যতম বিনিয়োগকারী সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখা যায় না। ফলে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় জ্বালানী খাতে বিনিয়োগ বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে সামিট গ্রুপ। যে কারণে অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আছেন মুহাম্মদ আজিজ খান। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের করা এ তালিকায় তিনি ২০১৮ সালে প্রথম জায়গা করে নেন। ২০২২ সাল থেকে তিনি ফোর্বসের বৈশ্বিক বিলিয়নেয়ার তালিকায়ও রয়েছেন। এতদিন পর্যন্ত এ তালিকায় তার নাম এসেছে একমাত্র বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে। পাশাপাশি তাকে উল্লেখ করা হয়েছে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী নিবাসী হিসেবেও।
আজিজ খান ১৯৮৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করছেন এবং ২০১৬ সালে সামিটের প্রধান কার্যালয় সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করেন। ২০১৮ সাল থেকে ফোর্বসের সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় আছেন। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার। এতদিন তিনি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন, কিন্তু এবার তাকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৮ বছর বয়সে ব্যবসায়ী জীবন শুরু করেছিলেন আজিজ খান। জুতা তৈরির মাধ্যমে শুরু করা ব্যবসা পরে বিদ্যুৎ, বন্দর ও ফাইবার অপটিক খাতে বিস্তৃত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে সামিট গ্রুপ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণের কারণে তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হারানো ও নতুন পরিস্থিতি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নতুন দিক নির্দেশ করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বিএনএনিউজ/ আরএস