24 C
আবহাওয়া
১০:৪৩ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মেট্রোরেলে কোন স্টেশনে কত ভাড়া?

মেট্রোরেলে কোন স্টেশনে কত ভাড়া?

মেট্রোরেল

বিএনএ ডেস্ক: ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন।  পরদিন থেকেই যাত্রীরা চড়তে পারবেন বাংলাদেশে নতুন এই গণপরিবহনে। এরই মধ্যে মেট্রোরেলের ভাড়া চূড়ান্ত করেছে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

একজন যাত্রীর জন্য প্রতি কিলোমিটারে ৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথের জন্য সর্বোচ্চ এই ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের। ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, মেট্রোরেলের ভাড়া স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে যাত্রীরা পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ রেয়াত প্রদানের বিষয়ে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বিনা ভাড়ায় মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারবেন। এ ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রতিটি সিঙ্গেল ট্রিপের জন্য বিশেষ রেয়াতের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

মেট্রোরেলে দুই ধরনের টিকিট নিয়ে চলাচল করা যাবে। এমআরটি-৬ লাইনে সিঙ্গেল জার্নির জন্য এবং এমআরটি পাস (পারমানেন্ট টিকিট) জার্নির জন্য দুভাবে টিকিট কাটা যাবে।

সিঙ্গেল ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীকে প্রতিবার যাত্রার আগে টিকিট কেটে নিতে হবে। যাত্রা শেষ হওয়ার পর সেই টিকিট স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিয়ে বের হতে হবে। ওই টিকিট জমা না দিলে দরজা খুলবে না, ফলে যাত্রীর পক্ষে স্টেশন থেকে বের হওয়া সম্ভব হবে না।

আর এমআরটি পাসের (পারমানেন্ট জার্নি) জন্য যাত্রীকে একবার একটি টিকিট কিনলেই হবে। টিকিটের ব্যালান্স শেষ হলে আবার রিচার্জ করে নিতে হবে। সিঙ্গেল জার্নির মতো এই জার্নির ক্ষেত্রে টিকিট স্টেশনে জমা দিতে হবে না। টিকিট সঙ্গে করে নিয়েই স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন যাত্রী।

উদ্বোধনের পর প্রথম পর্যায়ে মেট্রোরেল চলবে আগারগাঁও পর্যন্ত। সেই হিসাবে উত্তরা নর্থ স্টেশন (দিয়াবাড়ী) থেকে আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া হবে ৬০ টাকা। এই পথে মোট নয়টি স্টেশন আছে।

ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী, উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে উত্তরা সাউথ স্টেশন পর্যন্ত ২০ টাকা, মিরপুর-১১ ও মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত ৩০ টাকা, কাজীপাড়া পর্যন্ত ৪০ টাকা, শেওড়াপাড়া পর্যন্ত ৫০ টাকা, আগারগাঁও ও বিজয় সরণি পর্যন্ত ৬০ টাকা, ফার্মগেট পর্যন্ত ৭০ টাকা, শাহবাগ পর্যন্ত ৮০ টাকা, সচিবালয় পর্যন্ত ৯০ টাকা এবং মতিঝিল ও কমলাপুর পর্যন্ত ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে দুই ধরনের টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। স্টেশনে থাকা টিকিট কাউন্টার থেকে এবং টিকিট বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটা যাবে। টিকিট বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটতে হলে যাত্রীকে প্রথমে ভাষা নির্বাচন করতে হবে। এরপর সিঙ্গেল নাকি পারমানেন্ট জার্নির জন্য টিকিট কিনতে চাচ্ছেন সেটি নির্বাচন করতে হবে।

এরপর আসবে যাত্রীর গন্তব্যের তালিকা। যাত্রী কোন স্টেশনে যেতে চান সেই গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর কয়টি টিকিট কাটবেন সেই তথ্য দিতে হবে। সিঙ্গেল জার্নির জন্য একজন যাত্রী এক যাত্রায় পাঁচটির বেশি টিকিট কাটতে পারবেন না। এরপর ওকে বাটনে চাপ দিলেই মেশিন টাকা চাইবে। টাকা দিলেই টিকিট প্রিন্ট হয়ে বেরিয়ে আসবে। মেশিনে সর্বনিম্ন ২০ টাকা আর সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা প্রবেশ করানো যাবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, দৈনিক ৪ ঘণ্টা করে মেট্রোরেল চলবে। প্রথমদিকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে।

বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ