বিএনএ, চট্টগ্রাম : “জুনায়েদ বাবুনগরী গংরা মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিচ্ছে” বলে অভিযোগ করেছেন হেফাজত ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির শ্যালক মো. মঈন উদ্দিন ।
তিনি বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে। পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে। তদন্তে দোষীরা চিহ্নিত হবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, জুনায়েদ বাবুনগরী গংরা মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিচ্ছে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের দায়ের করা মামলায় বর্তমান আমির বাবুনগরী দোষী হলে তার শাস্তি দাবি করে আল্লামা শফীর শ্যালক মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘মামলা নিয়ে তাদের এত ভয় কেন? যদি তারা নির্দোষ হয়ে থাকেন তাহলে আমাদেরকে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি কেন দেওয়া হচ্ছে?
মামলার বাদি মঈন উদ্দিন বলেন, ‘জুনায়েদ বাবুনগরী যদি নির্দোষ হন তাহলে আমাদের কোনো রাগ বা অভিমান নেই। কিন্তু তিনি যদি দোষী হন তাহলে তার শাস্তি ও ফাঁসি দাবি করছি। ’
আল্লামা শফীর ছেলে ইউসুফ মাদানীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জানাজায় অংশ নিতে বাধ্য করা হয় দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাগনে ইউসুফ মাদানী জানাজা পড়িয়েছে। জানাজার আগে ছেলের যে বক্তব্য রাখার কথা সেটা রেখেছে। কিন্তু বাবুনগরীর দোসররা তার সে বক্তব্য সীমিত ও নির্ধারিত করে দিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘গত ২৩ ডিসেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও তার সহযোগীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বাবুনগরীর মতো বয়োবৃদ্ধ আলেম সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করছেন।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় কী ঘটেছিল তা আপনারা সবাই জানেন। কওমি ভিশনের মাধ্যমে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মাদরাসায় অবস্থান করে সব ঘটনা লাইভ প্রচার করেছেন। আপনারা দেখেছেন শহীদ আল্লামা শফী হুজুরের রুমে কীভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ঈদ্রিস, মাওলানা শহীদুল্লাহ, মাওলানা ইনামুল হাসান, মাওলানা জুনায়েদ (হত্যা মামলার আসামি) উপস্থিত থেকে শফী হুজুরকে জোরপূর্বক হাটহাজারী মাদরাসা থেকে পদত্যাগে বাধ্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির মাওলানা শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে নালিশি মামলা করেন তার শ্যালক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।
মামলায় হেফাজতের ৩৬ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকও রয়েছেন।
বিএনএ/ওজি