বিএনএ, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতি অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে ২৬ দফা দাবি তুলে ধরেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি। তবে শিক্ষক সমিতির এমন কর্মকাণ্ডে এর প্রতিবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সমিতির প্রশাসনপন্থী সদস্যবৃন্দ।
রোববার (২৬ নভেম্বর) শিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক ড. রকিবা নবী ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তাছাড়া অন্য দুজন শিক্ষক হলেন সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান ও সদস্য অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া।
বিবৃতিতে ৪ সদস্য বলেন, শিক্ষক সমিতির সাম্প্রতিক সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড যেমন – সংবাদ সম্মেলন, অবস্থান ধর্মঘট, নিয়মিত ভাবে বিশাল আকারের বিবৃতি প্রদান, বিভিন্ন শিক্ষক কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বিবৃতি প্রদান (যা শিক্ষক সমিতির ৫০ বছরের ইতিহাসের পরিপন্থী), বিভিন্ন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার (প্ল্যানিং কমিটির মিটিং এ অনুপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও উপস্থিত ছিলেন বলে অসত্য বিবৃতি) সহ অসংখ্য কর্মকাণ্ড শিক্ষক সমিতির ৩০ ভাগ সদস্যকে না জানিয়ে, কোন রকম অবহিত না করে, কোন বিস্তারিত সভায় আলোচনা না করে শীর্ষ নেতাদের স্বাক্ষর নিয়ে করা হয়েছে।
এর দায়ভার কোনভাবেই অন্তত চারজন শিক্ষক নিবেন না। আমরা এসব মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করছি, শিক্ষকদের বিব্রত করা কোনভাবেই শিক্ষক সমিতির কর্মপরিধির মধ্যে পড়ে না। এবং আমাদের সকল সম্মানিত সহকর্মীর সাথে আমরা ছিলাম, আছি, থাকবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন দুর্নীতি কিংবা ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ এর বিরোধী অথবা গণতন্ত্রের ও মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার বিরোধী কোন কর্মকান্ড হলে অবশ্যই আমরা তার প্রতিবাদ করবো।
বিবৃতিতে আরও বলা হয় সমিতির ৩০ ভাগ সদস্য কে কোন কিছু না জানিয়ে, উপেক্ষা করে কোনরকম প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত আমাদের হতবাক ও হতাশ করেছে। শিক্ষকদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সব কিছু জানার ও মতামত দেয়ার শতভাগ অধিকার আমাদের আছে। সমিতির ৩০ ভাগ সদস্য কে অবহিত না করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, অপমানিত করা ও বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টার আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিএনএ/ সুমন, এমএফ