বিএনএ, মিরসরাই ( চট্টগ্রাম) : মিরসরাইয়ে এক যুবককে অতর্কিত হামলা করে তার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে মিরসরাই থানার এক সোর্স ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।বৃহস্পতিবার(২৫) নভেম্বর উপজেলার সদয় ইউনিয়নের মিঠাছড়া বাজার সুপার মার্কেটের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহতের নাম আবু ইয়াছিন (৪২)। তিনি মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আবু নগর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি পুলিশি সহায়তায় স্থানীয় স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আহত আবু ইয়াছিন জানান, নিজ বাড়ির আবু নগর গ্রামের মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে পারিবারিক প্রয়োজনে মিঠাছড়া বাজারে উঠার সময় পথি মধ্যে মিঠাছড়া সুফার মার্কেটের সামনে মিরসরাই থানার সোর্স ইকবাল, নোমান ও বাহার সহ ৭/৮ জন অতর্কীত হামলা চালায়। ইকবাল, নোমান ও বাহার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরীরের ভিবিন্ন স্থানে রক্তাক্ত মারাত্মন জখম করে। এছাড়া লাঠিসোটা দিয়ে এলোপতাড়ি আঘাত করে ডান হাত ভেঙ্গে ফেলে ও শরীরের ভিবিন্ন অংশে মারাত্মক জখম করে।
আহতের ছোট ভাই মোমিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে দেখি অচেতন আবস্থায় আমার ভাই পড়ে আছে। এর মধ্যে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করছে। এসসময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিতে চাইলে বাধাদেয় পুলিশের সোর্স ইকবাল। সে ধমক দিয়ে বলে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবেনা। চিকিৎসা করাতে হলে প্রাইভেট হসপিটাল মিঠাছড়া জেনারেল হসাপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে। বাঁচলে বাচঁবে মরলে মরবে কোন সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবেনা।
স্থানীয়রা জানায়, মিরসরাই থানা পুলিশের সোর্স ইকবাল (২৫), পিতা মৃত নুর আলম মিরসরাই সদয় ইউনিয়ন ৫ নং আদুনগর। সে থানা পুলিশের সোর্স হওয়ায় থানা পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ইয়াবা ব্যসায় ও চাদাবাজি করার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। ডাকাতি, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন সহ একাধিক মামলার আসামী ইকবাল। পুলিশের সোর্স হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করেনা কেউ। ফলে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সে। এলাকায় যখন যাকে ইচ্ছে মারধর করছে, সাধারণ মানুষদের পথে আটকিয়ে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মারধর ও অত্যাচার করে। অত্যাচারের ব্যাপারে মুখ খুললে ইয়াবা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়ার হুমকি দেয়।
ইকবালের সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম সদস্য বাহার (৩৩) সে একই এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। বাহারের বিরুদ্ধে দুটি ডাকাতি মামলা একটি অস্ত্র মামলা সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে র্যার্ব তাকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করে। তবে রাজনৈতিক তদবিরে জামিনে ফিরে এসে ব্যাপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা।
অন্য সদস্য নোমান (২৬) সেও একই এলাকার হেঞ্জু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধেও ডাকাতি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায় তারা মহাসড়কে সসস্ত্র ডাকাতি, এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়, চাদাবাজি, চুরি চিন্তাই করে। কেউ বাধা দিলেই নির্মম ভাবে কুপিয়ে জখম করে।
মিরসরাই থানা উপপরিদর্শক রাজিব হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, আহত আবু ইয়াছিন কে পুলিশি সহায়তায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় মামলা রুজু সহ আসামীদের গ্রেফতারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
বিএনএ/ আশরাফ