20.7 C
আবহাওয়া
৫:২১ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » লোকসান কাটিয়ে লাভের আশা ফুল ব্যবসায়ীদের

লোকসান কাটিয়ে লাভের আশা ফুল ব্যবসায়ীদের

লোকসান কাটিয়ে লাভের আশা ফুল ব্যবসায়ীদের

।। সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া।।
বাঙালির উৎসব পার্বণে ফুলের রয়েছে অনন্য আবেদন। করোনা মহামারির কারণে গত বছর থেকে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক,ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছিলো স্থবিরতা।বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যবহার করা ফুলের বাজারও ছিলো ওই সময় মন্দা।কিন্তু গত জুলাই মাস থেকে করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে বাড়তে শুরু করেছে ফুলের চাহিদা।ব্যবসায়ীরা বিগত সময়ের লোকসান কাটিয়ে লাভের আশা করছেন।
ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া শাহবাগ মোড়ে বটতলা ফুলের পাইকারি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে,পাইকারি ও খুচরা ক্রেতার উপস্থিতি।যশোর,সাভার,নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারি বিক্রেতারা ফুল নিয়ে আসেন।এখান থেকে পাইকারের মধ্যমে ফুল চলে যায় সারাদেশে। যার মধ্যে রয়েছে গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকাসহ প্রায় পনেরো ধরনের ফুল রয়েছে।
প্রায় দশ বছর শাহবাগে পাইকারি ফুলের ব্যবসা করা নবনিতা পুষ্প বিতানের খাইরুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,করোনা মহামারির সময়ে অনেক ফুল নষ্ট হয়েছে।এতে বাগান মালিকরা লোকসানে পড়েছেন।অনেক বাগান মালিক বাগান করা ছেড়ে দিয়েছেন।এতে করে বাগানের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ফুলের উৎপাদনও কমে গেছে।আমাদের ব্যবসা মূলত বাগান মালিকদের সাথে।যারা করোনা মহামারির সময়েও বাগান ধরে রেখেছেন তারা এখন লোকসান পুষিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন।এতে করে ফুলের দাম কিছুটা বাড়ছে।তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে ফুলের উৎপাদন বাড়লে দাম কিছুটা কমে আসবে। অন্যদিকে সাত বছর ধ‌রে শাহবাগে ফুলের খুচরা ব্যবসা করা
লাভলী ফুল ঘর বিতানের স্বত্বাধিকারী পিন্টু বলেন,ফুলের দাম বেশি ক্রেতাকে এটা বুঝানো কঠিন।করোনা মহামারির সময়ের পর আমরা ব্যবসা নিয়ে টিকে আছি এই অনেক।আমরা কোন প্রনোদনা পাইনি।অথচ সরকার বলছে এটা সম্ভাবনাময় খাত।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,কৃত্রিম ফুল বের হওয়ার পর আমাদের প্রাকৃতিক ফুলের চাহিদাও কমতে শুরু করেছে।তিনি এসময়ে অবাধে কৃত্রিম ফুল আমদানি করার উপর নীতিমালা করারও দাবি জানান। বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ফুল কিনতে আসা রায়হানের নামের একজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন,ফুলের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেশি।আমি আগেও গত মাসেও ফুল কিনেছি।
তিনি অভিযোগ করেন,ফুল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।
বর্তমান ফুল ব্যবসার পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়  শাহবাগ বটতলা ফুল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সহ-সভাপতি বাবুল প্রসাদের সাথে। তিনি বলেন,করোনা মহামারির পর ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের পাশে সব সময় আছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের করোনা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আমরা ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।তিনি এই সময়,ফুল ব্যবসায় কোন সিন্ডিকেট নেই বলেও দাবি করেন।
বিএনএ নিউজ/ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ