বিএনএ ঢাকা: সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনগণের আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরাতে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই তারা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবার ওপর হামলা করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলের আগে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশে সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের আর ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। জনগণ তাদেরকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
তিনি বলেন, সরকার কোনো সমস্যাই সমাধান করতে পারেনি। তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করে মানুষের অধিকার ব্যাহত করছে। বিভিন্নভাবে মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। বিএনপি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। ৫ শতাধিক মানুষকে তারা গুম করেছে। সহস্রাধিক মানুষকে তারা হত্যা করেছে। মঙ্গলবারও তারা পঞ্চাশের বেশি নেতা-কর্মীকে তারা গ্রেফতার করেছে। সব মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেফতারকৃত সব নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেন তিনি।
পাশাপাশি একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।
সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি