22 C
আবহাওয়া
৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » শিক্ষা ব্যবস্থায় নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না: মামুনুল হক

শিক্ষা ব্যবস্থায় নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না: মামুনুল হক

মাওলানা মামুনুল হক

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না। শিক্ষা কমিশন থেকে নাস্তিক, মুরদাত ও বামদেরকে সরাতে হবে। অবিলম্বে শিক্ষা কমিশনে ইসলামী শিক্ষাবিদ ও আলেমদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহাসিক আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে বৃষ্টিভেজা এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিগত ছাত্র জনতার আন্দোলনে গণহত‍্যার বিচার এবং নৈরাজ্যবাদের প্রতিবাদে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর খেলাফত মজলিসের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহন করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে অন্য একটি দেশের অঙ্গ রাজ্যে পরিনত করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল বাংলাদেশকে ধ্বংস করার রাজনীতি। এদেশে সম্পদ লুট করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে দেশকে তলা বিহীন ঝুড়িতে পরিনত করেছে। যেন বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অধিকার ছিনতাই করেছে। আলেম উলামাদের মাহফিলে ১৪৪ ধারা জারি করে কোরআনের আওয়াজকে বাধাঁগ্রস্থ করার চেষ্টা করেছিল। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় আমার মাহফিলে ১৪৪ ধারা জারি করে বন্ধ করে দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষের ধর্মীয় ও অথনৈতিক অধিকার ছিনতাই করা হয়েছিল। বাক প্রকাশের অধিকার, ভোটের অধিকার ছিনতাই করে এদেশে এক নায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল শেখ হাসিনা। কিন্তু জুলাই এবং আগষ্টের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এই ফ‍্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুসলিম জাতিস্বত্তা ও ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়েছে। শেখ হাসিনা স্বাধীনতার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে সমকামিতাসহ আইন, ধারা, উপধারা আমার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল।

সমাবেশে খুনি হাসিনার শাসনামলে নিহত ও শাহাদাৎবরণকারিদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছি নতুন কোন ইসলাম বিদ্বেশি শক্তিকে বাংলার সনদে দেখবার জন্য নয়। ডক্টর ইউনুস সাহেবের সরকারকে আমরা এখন পর্যন্ত সহযোগীতা করে যাচ্ছি। আগামী দিনেও এই সহযোগীতা করে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের আছে। কিন্তু সেই ইচ্ছা সরকারেরও থাকতে হবে। সরকারকে বুঝতে হবে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ছাড়া সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। দেশের প্রশ্নে ইসলামের প্রশ্নে মানবতার প্রশ্নে আমরা কারো সাথে আপোষ করতে প্রস্তুত না। যদি হিন্দুত্ববাদী এবং ইসলাম বিরোধী কোন এজেন্ডা পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, সেটাকেও আমরা রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত। হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা ব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি।

সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পর ডক্টর ইউনুসের সরকার। আমরা লক্ষ‍্ণ কিন্তু ভালো দেখতেছি না। ঠান্ডা মাথায় আমরা কথা বলছি আমাদের ভাষা বুঝবার চেষ্টা করেন। সমকামিতা ও অসভ্যতার নোংরামি এই বাংলাদেশে বরদাস্ত করা হবে না। বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষনের নামে খবরদারি করার চেষ্টা করলে আমরা কারবালা তৈরি করব। প্রয়োজনে আবার রক্ত দিব, আবার শহীদ হব।

সমাবেশে খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, ফজলুর রহমান, আব্দুল মমিন, আবুল হাসনাত জামালী, মুফতি মোস্তাক আহমেদ, মানজির আহসান তাফসির প্রমূখ।

বিএনএ/ হামিমুর রহমান হামিম, ওজি /এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ