বিশ্ব ডেস্ক: ইসরাইল লেবাননে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। সর্বশেষ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭২ জন লেবানিজ, আহত হয়েছেন প্রায় ৪০০ জন। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো লেবাননে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। ইসরাইলি বাহিনী এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতকে প্রশমিত করতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১টি শক্তিশালী জোট বা ব্লকের সদস্যরা কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সংঘাতের সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তারা বিশ্বাস করে, কূটনৈতিক মীমাংসাই এই সংঘাতের উত্তরণের একমাত্র পথ।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ৭২ জন নিহত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন দক্ষিণ লেবাননে, ১২ জন পূর্ব বেকা অঞ্চলে, এবং রাজধানী বৈরুতের উত্তর ও দক্ষিণের তিনটি শহরে ২২ জন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, হামলায় প্রায় ৪০০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, লেবাননে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল। উত্তর ইসরাইলে সামরিক বাহিনী এরই মধ্যে একটি মহড়া শুরু করেছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এই মহড়া পরিদর্শন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে গ্যালান্ট জানিয়েছেন, সম্প্রতি গাজা থেকে লেবানন সীমান্তে স্থানান্তরিত ‘সাঁজোয়া বাহিনী ও প্যারাট্রুপারদের’ সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, ‘ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের পুনরায় বাড়িতে ফেরানোর লক্ষ্যে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুত।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স ইসরাইল ও লেবাননকে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সীমান্ত পারাপারের সংঘাতের একটি কূটনৈতিক সমাধানের সুযোগ তৈরি হয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই সংঘাত একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।
“লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে অবিলম্বে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে কূটনৈতিক সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়,” উভয় দেশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
এই আহ্বানটি আরও দশটি দেশ এবং সংস্থা সমর্থন করেছে: অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, এবং কাতার।
বিএনএ, এসজিএন