বিএনএ, ঢাকা : খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলে পুনরোল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার ( ২৬ আগস্ট) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেয়া হবে না। আমি শুধু এইটুকু চাই, যারা ষড়যন্ত্রকারী, চক্রান্তকারী, যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাতির পিতাকে ১৫ আগস্ট হত্যা করেছে, তাদের উদ্দেশ্য তো ছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ব্যর্থ হোক, স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস হয়ে যাক, সেটাই করতে দেব না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বিকৃত করেছিল ইতিহাস। আমার দেখা নয়া চীন, কারাগারের রোজনামচা, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ১৪ খন্ডে এসবির গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকেই সত্যিকারের রিপোর্ট বের হয়ে আসছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে সেনাবাহিনীর পাশাপাাশি আওয়ামী লীগ নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের বাসায় যখন গুলি শুরু হয়, বঙ্গবন্ধু কিন্তু সবাইকে ফোন করেছিলেন। আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে কথা হয়, তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে কথা হয়, সেনাপ্রধান শফিউল্লাহর সঙ্গে কথা হয়। সেনাবাহিনীরও যার যা ভূমিকা ছিল তারাও কিন্তু সঠিকভাবে তা পালন করেনি— এর পিছনে রহস্যটা কী? সেটাই কথা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, সেইদিন বাংলাদেশে এরকম একটি ঘটনার পর আমাদের দল, সমর্থক, মুক্তিযোদ্ধাদের যে ভূমিকা ছিল— তা হয়তো তারা পালন করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ঘাতকরা বাংলাদেশকে ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ ঘোষণা দিয়েছিল রেডিওতে প্রথম। ওই সময় পাকিস্তানি কায়দায় বাংলাদেশ বেতার হয়ে যায় রেডিও বাংলাদেশ। এভাবে সব নামগুলো এক সময় পরিবর্তন করে দেয়। তবে তা ধরে রাখতে তারা পারেনি। কারণ, এই অন্যায় কখনও আল্লাহও মেনে নেয় না। বাংলাদেশের মানুষ মানেনি।
আলোচনা সভার শুরুতে ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভার শেষে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ কামাল ও উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান মতি, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন ও উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা। গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
বিএনএনিউজ২৪/আমিন