বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের পর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন শুক্রবার (২৬ জুলাই) এই কথা জানিয়েছে।
২০২২ সালের চরম মন্দায় দ্বীপ দেশটিতে কয়েক মাস খাদ্য, জ্বালানী এবং ওষুধের মারাত্মক সঙ্কটের পর এই নির্বাচনটি জনসাধারণের মনোভাবের প্রথম পরীক্ষা হবে।
প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে (৭৫) দেশটিতে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যে পূর্বসূরিকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি দৃঢ়ভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বেলআউট প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যয় সাশ্রয়ে তার সরকারের গৃহিত কঠোর ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রনিল বিক্রমাসিংহে অন্তত দুই প্রতিদ্বদ্ধীর বিরূপ প্রচারণার মুখোমুখি হবেন।
কমিশন ঘোষিত পাঁচ-সপ্তাহের প্রচারাভিযানটি ২১ সেপ্টেম্বরের ভোটের মাধ্যমে শেষ হবে। দেশটি এখনও একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে জনগণের অসন্তোষের সাথে লড়াই করছে।
অর্থনৈতিক বিষয়গুলি প্রচারাভিযানে আধিপত্য বিস্তার করবে বলে আশা করা হচ্ছে কারণ, ২০২২ সালে দেশটি তার সবচেয়ে খারাপ মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এই সময় জিডিপি রেকর্ড ৭ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।
মুদ্রাস্ফীতি সংকটের উচ্চতা ৭০ শতাংশের সর্বোচ্চ থেকে এখন স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে এসেছে।
বিক্রমাসিংহে ২০২২ সালের সরকারের খেলাপি হওয়ার পর চীনসহ দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতাদের সাথে শ্রীলঙ্কার ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বিদেশী ঋণের পুনর্গঠনের জন্য সফলভাবে আলোচনা করেছেন।
কিন্তু কর বৃদ্ধি এবং উদার ইউটিলিটি ভর্তুকি প্রত্যাহার করে সরকারের হিসাবের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য তার নীতিগুলি জনগণের কাছে চরমভাবে প্রত্যাখান হয়েছে।
যদিও অর্থনৈতিক সঙ্কটের শীর্ষে দেখা মাসব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ঘাটতি এখন দূরের স্মৃতি। অনেক শ্রীলঙ্কান বলেছেন, বিক্রমাসিংহের কঠোরতার ব্যবস্থা তাদের অর্থনৈতিক সংকট মেটাতে সংগ্রাম করতে বাধ্য করেছে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।