বিএনএ, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের গবেষণা প্রকল্পের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ ভার্চুয়াল কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক ড. শেখ মেহেদী হাসান । ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে দেশের সর্বক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বৈশ্বিক অগ্রগতির সাথে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে। ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষায় গুণগত মানোন্নয়ন ঘটাতে চায়। এখন আমরা উচ্চশিক্ষায় স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং নিয়ে ভাবছি। দেশে ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল গঠন করা উচিত, যাতে আমাদের গবেষণার গুরুত্ব বাড়ানো ও গবেষণাকে অর্থবহ করা যায়।
তিনি বলেন, আমরা যে ধরনের গবেষণা প্রকল্পগুলো পাই বেশিরভাগ সময় সেগুলো নিম্ন মানের হয়। উচ্চমানের যে গবেষণা প্রকল্পগুলো থাকে সেগুলোও অনেক সময় অর্থ বরাদ্দ পায় না। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে নিম্নমানের গবেষণা প্রকল্প কখনো অর্থ বরাদ্দ পাবে না। তাই গবেষকদের হতাশ না হয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গবেষণা প্রকল্প প্রণয়নে মনোনিবেশ করা উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে উপার্চায প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, স্কুল-কলেজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মৌলিক পার্থক্য আছে । সেটি হলো স্কুল কলেজে প্রতিষ্ঠিত জ্ঞান বিতরণ করা হয় কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা হয়। প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করে নতুন কিছু সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন জ্ঞান সৃষ্টির জন্য গবেষণার কোন বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই গবেষণা করা।
তিনি বলেন, গবেষকদের জন্য আজ সারা বিশ্ব উন্মুক্ত। স্থানিক অবস্থান এখন আর মূখ্য বিষয় নয়। বরং মেধা থাকলে যে কারো পক্ষেই গবেষণা করা সম্ভব। ইন্টারনেট কানেকটিভিটির জন্য আজ গবেষকদের সামনে গোটা বিশ্ব উন্মুক্ত হয়ে আছে। গবেষকদের শুধু আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, গবেষণায় সহায়তার জন্য প্রশাসন সবসময় আন্তরিকতার সঙ্গে গবেষকদের সহযোগিতা করে যাবে। গবেষণা মেলা, জার্নাল প্রকাশসহ নিয়মিত নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
বিএনএ/রোকন বাপ্পি , এমএফ/ হাসনাহেনা