বিএনএ, চট্টগ্রাম : জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে এক গ্রাহকের এফডিআর একাউন্ট থেকে ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক দুই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এই রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডিতরা হলেন, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের চান্দগাঁও শাখার সাবেক প্রায়োরিটি ব্যবস্থাপক মো. ইফতেখারুল কবির ও সামিউল সাহেদ চৌধুরী এবং জাকির হোসেন বাপ্পী, মাহমুদুল হাসান ও আবদুল মাবুদ।
রায়ে ইস্টার্ন ব্যাংকের চান্দগাঁও শাখার সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার মো. ইফতেখারুল কবিরকে ৩১ বছর কারাদণ্ড ও ৫২ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, একই শাখার আরেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার সামিউল সাহেদ চৌধুরীকে ৬ বছর ও ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, নোয়াখালী সোনাইমুড়ী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে জাকির হোসেনকে ১০ বছর কারাদণ্ড ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, নগরের খুলশী থানা এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসানকে ১০ বছর কারাদণ্ড ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং নগরের ডবলমুরিং থানার আবদুল মালেকের ছেলে আবদুল মাবুদকে ৬ বছর ও ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ইস্টার্ণ ব্যাংকের চান্দগাঁও শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক ইফতেখার কবির আবু সাঈদ নামে এক গ্রাহককে স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রাখার প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাঁর কাছ থেকে কয়েকটি চেকে সই নেন। পরবর্তীতে জালিয়াতি করে সাইদের একাউন্ট থেকে অন্যান্য আসামির সহায়তায় টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নানা সময়ে বিভিন্ন উপায়ে মোট ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন অভিযুক্তরা।
ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল ব্যাংক কর্মকর্তা ইফতেখারুল অভ্যন্তরীণ অডিট টিমের কাছে লিখিতভাবে আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন।
২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর দুদক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০২২ সালের ১১ মে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করে আদালত। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।