বিএনএ, লাইফস্টাইল ডেস্ক: শিশুরাও বড়দের মতো হঠাৎ রেগে যায়। রেগে গিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে সন্তানের আচরণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে যান অভিভাবকরা। শিশু মনোবিজ্ঞানীর মতে শিশুদের আচরণ এবং তাদের আবেগ এবং মানসিক ও শারীরিক বিকাশকে প্রভাবিত করে।
রাগ হল শিশুদের এক রকমের অনুভূতি। অভিভাবকদের উচিত সন্তানের বিরক্তির এই কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। জানুন কীভাবে রেগে যাওয়া শিশুকে শান্ত করবেন।
শিশুর মানসিকতার উপর সমাজের প্রভাব
যে শিশুরা তাদের চারপাশের জিনিসগুলি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করে তাদের আচরণ তাদের গ্রহণ করে। তারা তাদের বাবা-মা, বন্ধু বা টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়াতে যা দেখে তার সঙ্গে মানিয়ে নেয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুর সার্বিক বিকাশের জন্য অভিভাবকদের দায়িত্ব এবং তাদের উচিত শিশুর চারপাশের পরিবেশের প্রতি কড়া নজর রাখা।
সন্তানের সঙ্গে বন্ধন
শিশুদের বোঝার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কথা বলুন বাচ্চাদের মনে কী চলছে তা জানুন। একই সঙ্গে শিশুদের ভুল দাবি পূরণ যাতে না হয় তা থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে।
যদি শিশু রাগ করে
অনেক সময় বাচ্চারা তাদের কথা বোঝাতে বা চাহিদা পূরণের জন্য রাগ দেখাতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে বাবা-মাকে বুঝতে হবে সন্তান সঠিক দাবি করছে কি না। শিশুকে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম দিয়ে রাগ শান্ত করার কৌশল শেখান। তাকে বলুন যে রাগ নিজেই তার স্বাস্থ্যের শত্রু।
রাগ জেনেটিক্যালি
আপনার সন্তানের অবচেতন মস্তিষ্কে রাগ জেনেটিক্যালি হতে পারে। তবে আপনি যদি আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে নেন তবে আপনার আক্রমণাত্মকতা শিশুর উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।
কী করবেন?
সাইকোলজিস্টের মতে, বাচ্চাদের বিভ্রান্ত করতে খেলনার সাহায্য নিতে পারেন। সফট বল, ফিজেট স্পিনার এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। জীবনের এই প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার শিশুকে তার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখানো উচিত। কিছু সময়ের জন্য শিশুকে একা ছেড়ে দিন। এর পরে দেখবেন আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ