23 C
আবহাওয়া
১১:০৩ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১০৫ (সাতক্ষীরা-১)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১০৫ (সাতক্ষীরা-১)


বিএনএ, ঢাকা:  বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে সাতক্ষীরা-১ আসনের হালচাল।

সাতক্ষীরা-১ আসন

সাতক্ষীরা-১ সংসদীয় আসনটি কলারোয়া এবং তালা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ১০৫তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: জামায়াতে ইসলামীর শেখ আনছার আলী বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৪৪ হাজার ২ শত ৫৫ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ২শত ৫০ জন। নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর শেখ আনছার আলী বিজয়ী হন। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ৭২ হাজার ৬ শত ৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সৈয়দ কামাল বখত সাকী। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬৭ হাজার ৫৩ ভোট।

৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ভোটারবিহীন এই নির্বাচনে বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সৈয়দ কামাল বখত সাকী বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩ শত ৮১ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ২০ হাজার ৫ শত ১০ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সৈয়দ কামাল বখত সাকী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭৬ হাজার ৭ শত ১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর শেখ আনছার আলী। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ৫১ হাজার ৫৪ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব বিজয়ী হন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৮৯ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৪ শত ৪৮ জন। নির্বাচনে বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯শত ৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের শেখ মুজিবুর রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১৪ হাজার ৫ শত ২৭ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের শেখ মুজিবুর রহমান বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮ শত ৯০ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৬ শত ৯ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ মুজিবুর রহমান বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩ শত ৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৪১ হাজার ৬ শত ৮৬ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ওয়ার্কাস পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৮০ হাজার ২ শত ৬৭ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৩ শত ৪৪ জন। নির্বাচনে ওয়ার্কাস পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৯২ হাজার ২শত ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মুজিবুর রহমান। হরিণ প্রতীকে তিনি পান ২৩ হাজার ৬শত ১৩ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: ওয়ার্কাস পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ২৩ হাজার ৭৩ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮ শত ১০ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। নৌকা প্রতীকে ওয়ার্কাস পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত্‌, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবদুর রশিদ, কাস্তে প্রতীকে সিপিবির আজিজুর রহমান, সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মুজিবর রহমান, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এফ এম আছাদুল হক প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে ওয়ার্কাস পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১৭ হাজার ৪ শত ৫৫ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সাতক্ষীরা-১ আসনে পঞ্চম সংসদে জামায়াতে ইসলামী। ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদে বিএনপি, সপ্তম ও নবম সংসদে আওয়ামীল লীগ এবং দশম ও একাদশ সংসদে ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থীরা বিজয়ী হন।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশিরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর সাতক্ষীরা -১ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৫.৪৩% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৬.৩৯ %, বিএনপি ১৯.২০%, জাতীয় পার্টি ২.৭৬% , জামায়াতে ইসলামী ৩৯.৪৫%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.২% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৬.৬৮%। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৪.৭৯%, বিএনপি ১৭.৯৬%, জাতীয় পাটি ২২.৯৬ %, জামায়াতে ইসলামী ২৩.১৫ %, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.১৪% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৯.৮৯% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪২.০৪%, ৪দলীয় জোট ৫৩.৫৬%, জাতীয় পার্টি ৩.৩২%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.০৮% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৯৩.০৩% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৩.৯১%, ৪দলীয় জোট ৪৫.১৯%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৯% ভোট পায়।

সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) সংসদীয় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ার্কাস পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। গত সাড়ে ৯ বছর ধরে সংসদে তিনি প্রতিনিধিত্ব করছেন ১৪ দলীয় জোটের শরিক হিসাবে। মুস্তফা লুৎফুল্লাহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী নেতারা তার বিরোধীতা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে তারা দলের নেতাদের মূল্যায়ন চান। এই তালিকায় রয়েছেন অর্ধ ডজনের বেশি নেতা ।

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শেখ নুরুল ইসলাম। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন এবং দলীয় প্রতীক পাওয়ার পরও জোটের স্বার্থে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

মনোনয়ন চাইবেন সাবেক এমএলএ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স ম আলাউদ্দিনের কন্যা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ১৪ দল ও মহাজোটের তালা উপজেলার আহ্বায়ক শেখ নূরুল ইসলাম, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাতক্ষীরা কৃষক লীগের জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু। আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সরদার মুজিব।

সাবেক সংসদ সদস্য সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে। তার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে তার স্ত্রী অ্যাড. শাহানারা পারভীন বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন।

সাতক্ষীরা-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহর নাম ঘোষণা করেছে।

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সৈয়দ দীদার বখত। ১৯৮৮ সালের এই সংসদ সদস্য ২০০০ সালে বিএনপিতে যোগদান করেন। কিন্তু বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি পুনরায় জাতীয় পার্টিতে ফিরে আসেন এবং ২০১৯ সালের মে মাসে তাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়।

জাসদ থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু। এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন তরুণ নেতা।

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে বিএনপি ও জামায়াতে সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী। নেই দলীয় কোন্দল। তবে আওয়ামী লীগে চরম অন্তকোন্দল রয়েছে। আওয়ামী লীগের এই বিভাজন নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে এতে কোন সন্দেহ নেই। সব মিলিয়ে এ আসনে দীর্ঘদিন জয় না পাওয়া বিএনপি- জামায়াত জোট আসনটিতে জয় পেতে মরিয়া। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ১০৫ তম সাতক্ষীরা-১ সংসদীয় আসনে এবারের নির্বাচনে ভাগ্য খুলে দিতে পারে বিএনপির।

বিএনএ/ শিরীন সুলতানা, এমএফ, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ