বিএনএ, সিলেট : বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন-এপিএতে দেশ সেরা সিটি কর্পোরেশনের পুরস্কার পেল সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। রোববার (২৫ জুন ) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।
এ নিয়ে টানা তিনবার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রতিবেদন ও মূল্যায়নে দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে প্রথম হয় সিসিক।
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন সকল সিটি কর্পোরেশনসহ ২০টি দপ্তর-সংস্থার মধ্যে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রতিবেদন ও প্রমানক মূল্যায়নে প্রথম হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
এসময় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য মন্ত্রনালয়ের সাথে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুল হক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান । সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রনালয়ের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, করোনা
অতিমহামারি, বন্যাসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়েও সিলেট মহানগরের নাগরিকদের সহাযোগিতায় সিসিক উন্নয়ন বাস্তবায়নে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সেবা প্রদান করতে পেরেছে। জীবনের ঝুঁকি জেনেও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি নাগরিক সেবা প্রদান ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে সচেষ্ট ছিলেন।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এ সময় নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি ও সুষম উন্নয়ন বাস্তবায়নে সিসিকের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান।
সিসিকের এমন অর্জনের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিকল্পণা মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, সহ সকল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবগণের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সাথে ‘সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির’ আওতাধীন দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন সহ ২০টি দপ্তর, সংস্থার ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মস্পাদন চুক্তি স্বাক্ষতি হয়। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রতিবেদন ও প্রমানক ১০০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করা হয়।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।