33 C
আবহাওয়া
৪:২৪ অপরাহ্ণ - জুন ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় চট্টগ্রামে চার প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় চট্টগ্রামে চার প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় চট্টগ্রামে চার প্রস্তুতি

বিএনএ, চট্টগ্রাম: বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ৪ ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র, সেচ্ছাসেবক, মেডিকেল টিম ও কন্ট্রোল রুম খোলাসহ ৪ ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এক হাজার ৯২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র। তার মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও এক হাজার ১৪০টি বিদ্যালয় রয়েছে। এ ছাড়া নয়টি মুজিব কেল্লা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ ও সমন্বয়ের জন্য জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

২৯৫ মেডিক্যাল টিম: সভায় বলা হয় জেলা সিভিল সার্জনের উদ্যোগে মোট ২৯৫টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০০টি, প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি, ৯টি আরবান ডিসপেনসারিতে ৯টি এবং জেনারেল হাসপাতালে ৫টিসহ মোট ২৯৫টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য প্রায় তিন লাখ ট্যাবলেট ও চার লাখ খাবার স্যালাইন মজুত রয়েছে।

প্রস্তুত ১৩ হাজার ৮৮০ স্বেচ্ছাসেবক: ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৮ হাজার ৮৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক। আছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। এ ছাড়াও বিএনসিসি ও স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবকগণকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কন্ট্রোল রুম: ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সমন্বয়ের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। যার নম্বর ০২৩৩৩৩৫৭৫৪৫।

সভায় জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকা সন্দীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও কর্ণফুলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে বিশেষভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে ব্যাপক বর্ষণ ও পূর্ণিমার কারণে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা থাকায় উপকূলবর্তী এলাকারসমূহ ও পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং এসিল্যান্ডদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ (ইউএনও) পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার, মোমবাতি, ঔষধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন মজুত রয়েছে বলে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনপ্রতিনিধিগণ, পুলিশ, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, ফায়ার সার্ভিস, আনসারসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রতিনিধিগণ, উপকূলবর্তী উপজেলাসমূহের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধিগণ।

বিএনএনিউজ/ নাবিদ/ বিএম/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ