বিএনএ ডেস্ক : ঠিক মতো ভোট দিতে না জানলে ব্যালট পেপারের মত ইভিএমেও ভোট বাতিল হয় । বৃহস্পতিবার(২৫ মে)গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাতিল হয়েছে ১৭৯৪ ভোট ।এই সিটির মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। ভোট দিয়েছেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ জন, যা মোট ভোটের ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর বঙ্গতাজ পৌর অডিটোরিয়ামে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।
তাঁর স্বাক্ষরিত ফলাফল শিট থেকে জানা যায়, টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খান দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়েছেন।
৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান। স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি হাতি প্রতীক নিয়ে ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট পেয়েছেন। আর মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট।
গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ পেয়েছেন সাত হাজার ২০৬ ভোট এবং ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ পেয়েছেন দুই হাজার ৪২৬ ভোট।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন ও কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী। ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
প্রসঙ্গত: কাগুজে ব্যালট পেপারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেও (ইভিএম) ভোট বাতিল হয়ে থাকে। সেটা হলো কোনও পদে ভোট প্রদান না করা। তবে, ভোটদানে বিরত থাকার বিষয়টি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়।
ইভিএমে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রার্থীকে ভোট দেবে বা যে মেয়রকে ভোট দিতে ইচ্ছুক সেই বাটনে চাপ দিতে হবে। সেখানে তিনটি ইভিএমের অংশ থাকবে। মেয়র, কমিশনার, সংরক্ষিত মহিলা কমিশনার। এই তিন মেশিনে আলাদা আলাদাভাবে ভোট প্রয়োগ করতে হবে।
মেয়রকে ভোট দেওয়ার পর কমিশনার বা মহিলা কমিশনারকে ভোট দিতে না চাইলে কেনসেল বা লাল বাটনে চাপ দিয়ে বের হয়ে আসতে হবে। অর্থ্যাৎ মেয়রকে ভোট দেওয়ার পর কাউন্সিলরকে ভোট না দিলে কেনসেল বাটনে চাপ দিয়ে বের হয়ে আসতে হবে। কেনসেল না দিয়ে চলে আসলে তার দেওয়া মেয়রের ভোটও গণ্য হবে না।
বিএনএ/ ওজি