28 C
আবহাওয়া
৯:০৬ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পবিত্র জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল(২০২৩)

পবিত্র জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল(২০২৩)

জুমা

বিএনএ, রিপোর্ট:  পবিত্র জুমার দিন মুসলমানদের জন্য আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। দিনটি অসংখ্য বিশেষ আমলে ভরপুর। জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল হলো- বৃহস্পতিবার রাত হতে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এবাদতের একটা মাস্টার প্লান করা। সে অনুযায়ি ইবাদত ও দোয়া দরুদ পড়া।
শুক্রবার সকালে নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করা। জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমলসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল রয়েছে। আমলগুলো নিচে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করবো।

পবিত্র কোরআনুল কারীম মানবজাতির জন্য পথনির্দেশক। পুরো কোরআনের প্রত্যেকটি হরফে হরফে রয়েছে সওয়াবের বিশাল ভান্ডার। এরমধ্যে বিশেষ কিছু আয়াত আছে যেগুলোর ফজিলতও বেশি। এগুলোর মধ্যে হলো- আয়াতুল কুরসী, সুরা ইয়াসিন, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক ইত্যাদি।এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূরা হল সুরা দুখান।

বৃহস্পতিবার রাতে সুরা দুখান তিলাওয়াতের যত ফজিলত

হাদিসে সুরা দুখান পাঠ করার বেশকিছু ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইবনে মারদুবিয়া হজরত আবু উমামা বাহেলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাতে অথবা জুমআর দিনে সুরা দুখান তেলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য জান্নাতে একটি মহল তৈরি করেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন- যে ব্যক্তি জুমার রাত্রিতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) সুরা দুখান পাঠ করবে সকাল হওয়ার আগেই তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
হজরত উমামা (রা.) হতে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন- যে ব্যক্তি জুমার রাত্রিতে অথবা জুমার দিন সুরা দুখান পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে। (কুরতুবী)

সকল গোনাহ মাফ

বাইহাকি বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাতে এ সুরা এবং সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করে। সে সকালে এমন অবস্থায় জাগ্রত হবে যে, তার সকল গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে।

ইমাম তিরমিজি ও বাইহাকি হজরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরা দুখান তেলাওয়াত করবে, সত্তর হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকবে।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় সুরা দুখান, সুরা গাফের ও আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করবে, সকাল পর্যন্ত তাঁর হেফাজত করা হবে এবং সে কোনো প্রকার মন্দ কিছু দেখবে না।

বৃহস্পতিবার রাতে পুরো সপ্তাহের আমল আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করা হয়। এজন্য বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

বৃহস্পতি ও সোমবার আল্লাহ তায়ালার সামনে বান্দার আমল উপস্থাপন

এ বিষয়ে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
বৃহস্পতি ও সোমবার আল্লাহ তায়ালার সামনে বান্দার আমল উপস্থাপন করা হয়, তাই আমি চাই- আমার আমল পেশ করার সময় আমি যেন রোজা অবস্থায় থাকি। -সুনানে নাসায়ী, ২৩৫৮

সোম ও বৃহস্পতিবার রোজার রাখার গুরুত্ব 

আল্লাহর রাসূল! আপনি (গুরুত্বের সাথে) সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখেন! (এর কারণ কী?)। নবীজি বললেন-
সোম ও বৃহস্পতিবারে আল্লাহ সব মুসলিমকে ক্ষমা করে দেন। তবে ওই দুই ব্যক্তি ছাড়া, যারা একে অপরকে বর্জন করেছে। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘পরস্পর মিলে যাওয়া পর্যন্ত এদেরকে আপন অবস্থায় ছেড়ে দাও।’ -সুনানে ইবনে মাজাহ, ১৭৪০

যে মুসলমান পরস্পরের সাথে ঝগড়া করে ও অন্যের প্রতি রাগান্বিত হয় তাদের এই রাতেও ক্ষমা করা হবে না। একইভাবে আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারীকেও এই রাতে ক্ষমা করা হবে না। এ কারণে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো মুসলমানকে অন্য মুসলমানের সাথে তিন দিনের বেশি রাগ করে থাকতে নিষেধ করেছেন। -(বুখারি, হাদিস : ৬০৫৬; মুসলিম ২৫৫৯)।

জুমার দিন, শুক্রবার ইসলামে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন কেন

মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে , কোনো মুসলিম যদি সেই সময়টা পায়, আর তখন যদি সে নামাজে থাকে, তাহলে তার যেকোনো কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন। (বুখারি, হাদিস নম্বর ৬৪০০)

সময়টি হল—আসরের নামাজের পর হতে সূর্য অস্ত যাবার ১০মিনিট আগ পর্যন্ত।
জুমার গুরুত্ব আল্লাহ তায়ালার কাছে এত বেশি যে, কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল করা হয়েছে।
আল্লাহ তা’আলা কোরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে। (সূরা জুমা- ০৯)।

রাসুল (সা.) একটি হাদিসে বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।(ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১০৯৮)।

১. জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল(২০২৩)
জুমা সপ্তাহের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। এই দিনের নামাজই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল আল্লাহ তাআলা এ দিন নামাজের ব্যাপারে এভাবে নির্দেশ দেন-
‘হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহবান করা হবে, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বর্জন কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা উপলব্ধি কর।’ (সুরা জুমা : আয়াত ৯)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে।’ (মুসলিম)

শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আরও আমল রয়েছে যেমন-
১. মিসওয়াক করা।
২. জুমার নামাজের প্রস্তুতির জন্য ফরজ গোসলের মতো উত্তমরূপে গোসল করা।
৩. জুমার নামাজের জন্য উত্তম পোশাক পরা।
৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৫. মনোযোগের সঙ্গে খুতবাহ শোনা।
৬. বেচাকেনা বন্ধ রাখা
জুমার দিন আজানের পর বেচাকেনা বন্ধ রাখা দিনটির গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝো।’ (সুরা জুমা : আয়াত ৯)
৭. দ্রুত মসজিদে যাওয়া

৭ক.  সুরা কাহফ তেলাওয়াত

জুমার দিন তথা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জুমার দিন সূর্য ডেবার আগ পর্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এই দিনের বিশেষ একটি আমল হচ্ছে সুরা কাহফ তেলাওয়াত করা। হাদিসে এসেছে-
‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত (নূর) উজ্জ্বল করা হবে।’
কেউ যদি পুরো সুরাটি তেলাওয়াত করতে না পারে তবে সে যেন সুরাটির প্রথম ও শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে। শেষ ১০ আয়াত পাঠ করা প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে-
‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়বে তা জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার জন্য আলোকিত হয়ে থাকবে। আর যে ব্যক্তি এই সুরার শেষ ১০ আয়াত পাঠ করবে এরপর দাজ্জাল বের হলে তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। যে ব্যক্তি অজুর পর এই দোয়া পড়বে তার নাম একটি চিঠিতে লেখা হবে। এরপর তাতে সিল দেওয়া হবে, যা কেয়ামত পর্যন্ত আর ভাঙা হবে না।’ (তারগিব, মুসতাদরাকে হাকেম)

৮. বেশি বেশি দরূদ পড়া

জুমার দিন বেশি বেশি দরূদ পড়া গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে সব সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব, তোমরা এই দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরূদ পড়। কেননা তোমাদের দরূদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়।’ (আবু দাউদ)

আরও পড়ুন : শুক্রবারে(জুমার দিন) দরুদ শরীফ পড়ার ফজিলত(২০২৩)

৯. বেশি বেশি দোয়া করা

দোয়া কবুলের অন্যতম দিন জুমা। দোয়া কবুলের বিশেষ একটি মুহূর্তও রয়েছে। জুমার দিন সূর্য উদয় হওয়ার পর (দুনিয়ায়) মানুষ এবং জিন ব্যতিত প্রত্যেক প্রাণীই কেয়ামতের ভয়ে আতংকিত থাকে। জুমার দিনে এমন একটি বরকতময় সময় আছে, যাতে মুসলিম বান্দা নামাজরত অবস্থায় আল্লাহর কাছে যা প্রার্থনা করবে, আল্লাহ্ তাকে তা দান করবেন। হাদিসে এসেছে-
‘জুমার দিনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে যে তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর কাছে যে দোয়া করবে আল্লাহ তা কবুল করেন।’ (আবু দাউদ)

যাদুল মাআ`দ গ্রন্থে এসেছে, ‘এ মর্যাদাবান মুহূর্তটি হলো- জুমা`র দিন আছরের নামাজ আদায়ের পর (থেকে মাগরিব পর্যন্ত)।’

দুরুদের অনেক ফজিলত, উপকারিতা ও সওয়াব রয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যে দরুদ পাঠ করে তার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয় এবং এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালবাসার একটি নিদর্শন বহন করে।

আরও পড়ুন : মুসলমানদের গুনাহ মাফের দোয়া(2023)

দোয়া কবুলের রাত শুক্রবার

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, পাঁচটি রাত এমন আছে যেগুলোতে দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১) শুক্রবারের রাত। ২) রজবের প্রথম রাত। ৩) শব-ই-বরাত (শাবানের পনের তারিখের রাত)। ৫) ঈদের রাত (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা)। -(বায়হাকী,ঈদের ফজিলত,১৪৯)

 

হজরত ইবরাহিম(আ.)

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম নিজের সন্তান-সন্তুতি ও বংশধরদের জন্য দোয়া করার পর আল্লাহর উদ্দেশ্যে বলেন, হে আল্লাহ! আমরা যা গোপন করি আর যা প্রকাশ করি নিশ্চয়ই আপনি তা জানেন। হে আল্লাহ! আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই আপনার কাছে গোপন থাকে না।
তাই তিনি নিজের ও বংশধরদের জন্য এবং নিজের পিতা-মাতার জন্য দোয়া করেছিলেন। সে দোয়া আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় হওয়ায় তিনি তা মুসলিম উম্মাহর জন্য কুরআনে পেশ করেছেন। যাতে মানুষ নিজেদের জন্য এ দোয়ার মাধ্যমে তার কাছে আশ্রয় ও সাহায্য প্রার্থনা করতে পারে।
দোয়াটি হলো-

উচ্চারণ : রাব্বিঝ্আ’লনি মুক্বিমাস সালাতি ওয়া মিং জুর্রিয়্যাতি; রাব্বানা ওয়া তাক্বাব্বাল দুআ’য়ি; রাব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিল মু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’

অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী বানাও এবং আমার বংশধরদের থেকেও (নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী) বানাও; হে আমাদের প্রতিপালক! আমার দোয়া কবুল কর। হে আমার প্রতিপালক! যে দিন হিসাব হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীদেরকে ক্ষমা কর।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪০-৪১)

মুসলিম উম্মাহর উচিত, নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরবর্তী বংশধরদেরকে নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে তৈরি করতে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করা। আর এ দোয়াসহ অন্যান্য সব আবেদন-নিবেদন কবুল করার আবেদনও করা।
বিশেষ করে শেষ বিচারের দিনের কল্যাণে পিতামাতা, সন্তান-সন্তুতিসহ নিজেদের মুক্তির লক্ষ্যে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার দিন নামাজ পড়াসহ আমলগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন।

বিএনএনিউজ২৪, হাসিনা আকতার, জিএন

#জুমার দিনের আমল ও ফজিলত #শুক্রবার আসরের পরের আমল #শুক্রবারের দোয়া কবুলের আমল#জুমার দিনের ১১ টি আমল

Loading


শিরোনাম বিএনএ