বিএনএ, জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মীর মোশারফ হোসেন হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক ছাত্রদল কর্মীকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে।অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সাগর সিদ্দিকী (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক-৪৬), সোহেল শাহ (ইংরেজি-৪৬), প্রীতম আজাদ (ইতিহাস-৪৩)।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকালে মীর মোশারফ হোসেন হলে গেস্টরুমে এ মারধরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা রাজু হাসান রাজন (সরকার ও রাজনীতি-৪৬) বলেন, ‘সকাল আটটায় আমি গেরুয়ায় ছাত্রদলের প্রোগ্রামে অংশ নেই। এরপর বেলা এগারোটার দিকে আমাকে মীর মোশারফ হোসেন হলে ধরে নিয়ে আনা হয়। সেখানে দেড়ঘন্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ছাত্রলীগ।’
অভিযুক্ত সাগর সিদ্দিকী বলেন, ‘ছাত্রদল কর্মীকে মারধরের ঘটনা পুরোপুরি সত্য নয়। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে একটি অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। আমরা তাদের প্রতিহত করি। এরকম পরিস্থিতি সন্দেহজনক ভাবে একজনকে আমরা হাতেনাতে ধরি এবং মীর মোশারফ হোসেন হলে নিয়ে আনি। সেখানে জাবি ছাত্রলীগের কয়েকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।’
জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রদলের কর্মীরা জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মোটিভেট করে নিজ দলে ভিড়ানোর চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেন এ ছাত্রলীগ কর্মী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করা চেষ্টা করছিলো। যখন আমাদের কাছে এ খবর আসে তখন ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থী মিলে আমরা প্রতিহত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমন কোনো সুবিধা করতে না পেরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। তখন আমরা তা প্রতিহত করি।’
মারধরের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল কর্মীকে কেউ মারধর করেনি। “সে আর কখনও এরকম অনৈতিক কাজ করবে না” এ মর্মে মুচলেকা নিয়ে আমরা তাকে ছেড়ে দেই।’
বিএনএ/ সানভীর ইসলাম, ওজি