বিএনএ ডেস্ক: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই তিথিতে নেপালের লুম্বিনী কাননে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।এ রাতেই তিনি বোধিজ্ঞান লাভ করেছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায়। এছাড়া, গৌতমবুদ্ধের মৃত্যুও হয়েছিল এ রাতেই। আর এ কারণেই এ তিথিকে বলা হয় ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বুদ্ধপূর্ণিমা।
গৌতমবুদ্ধের জন্ম, মহাপ্রয়াণ ও বোধিলাভ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর অপর নাম বৈশাখী পূর্ণিমা।বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি একইসঙ্গে শোক ও গৌরবের।
নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দিনটি পালন করছে। করোনার কারণে এবার এ উৎসবটি অনাড়ম্বরভাবে উদযাপিত হচ্ছে না।এ বছর সকল কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হচ্ছে।সব বিহার ও প্যাগোডায় বুদ্ধপূর্ণিমার কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি নেই। কেবল বৌদ্ধ বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুরা বিহারের ভেতরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা, বন্দনাসহ ধর্মীয় কার্য সমাধা করছেন। পাশাপাশি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিটি বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বাসাবো সবুজবাগ বৌদ্ধ বিহার দিনটি উৎসবমূখর এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপনের জন্য দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বুদ্ধপূজা, মহাসংঘদান এবং আলোচনা সভা।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ বুধবার সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে প্রতীকী শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসব করেছে।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীসহ দেশবাসীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান তারা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি