বিএনএ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এর দেওয়া ঋণের শর্তপূরণ খতিয়ে দেখতে সংস্থাটির একটি টিম বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। আইএমএফের এই স্টাফ মিশনটি আগামী ২ মে পর্যন্ত এখানে থাকবে।
টানা আট দিনের এই সফরে মিশনটি ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের শর্তপূরণের অগ্রগতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
আইএমএফের ঋণচুক্তিতে প্রায় ৩৮টি শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে আগামী জুন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে সেগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে সংস্থাটি। এছাড়া ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে যেসব শর্ত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে সরকার, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য বাজেটে কী কী উদ্যোগ থাকছে, তা-ও পর্যালোচনা করে দেখবে তারা।
জানা গেছে, প্রতিনিধিদলটি মোটা দাগে দুটি শর্ত পর্যালোচনা করবে। এর একটি হচ্ছে আগামী জুনের মধ্যে রিজার্ভ ২৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারে উন্নীত করা। এবং অন্যটি হচ্ছে আগামী অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত ০.৫ শতাংশ বাড়াতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা।
সূত্র জানায়, সাত কিস্তিতে প্রদেয় ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে চলতি বছরের গত ৩০ জানুয়ারি ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার দিয়েছে আইএমএফ। পরবর্তী দ্বিতীয় কিস্তি আগামী নভেম্বরে দেওয়ার কথা রয়েছে। ঋণের তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে সেপ্টেম্বর ও ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে আরো দুটি রিভিউ করবে আইএমএফ।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, আইএমএফের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়ার পর আইএমএফের দেওয়া সময় নির্দিষ্ট সংস্কার প্রতিশ্রুতির কতটা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে তা পর্যালোচনা করা হবে। একই সঙ্গে আগামী নভেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার জন্য কতটুকু সংস্কার করতে হবে-সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ