বিএনএ, কুমিল্লা: কুমিল্লার লাকসামে পৃথক স্থান থেকে দুই মহিলার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের উত্তর নরপাটি ও কান্দিরপাড় ইউনিয়নের খুন্তা এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের উত্তর নরপাটি থেকে জাহেদা আক্তার মিতু (১৬) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুপুরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তিনি ওই গ্রামের মো. মীর হোসেনের মেয়ে। এস আই আব্দুল লতিফসহ পুলিশ ফোর্স মরদেহটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজন জানান, জাহেদা আক্তার মিতু ফুলগাঁও ফাজিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ৬ বোনের মাঝে মিতু সবার ছোট। সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে মিতুর সঙ্গে পাশের গ্রামের এক ছেলে দেখা করতে আসে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন ওই ছেলেকে মারধর করে। রাতে মিতুকেও পরিবারের লোকেরা মারধর করে। সকালে মিতুর ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো মরদেহ পাওয়া যায়।
এদিকে, মিতুর মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় রহস্যের ডালপালা মেলছে।
অপরদিকে, উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের খুন্তা এলাকা থেকে সোমবার (২৫ মার্চ) পারভিন আক্তার (৪০) নামে এক মহিলার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওইদিন দুপুরে লাকসাম থানার এস আই আশরাফুল ইসলাম মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এস আই আশরাফুল ইসলাম জানান, ওই এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে গাজিরুল নিহত পারভিনের তৃতীয় স্বামী। এ সংসারে তার কোনো সন্তান নেই। একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তি পরিশোধে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হতো। ঘটনার আগের দিন রাতেও তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। পরে সকাল ৯টায় ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে মরদেহ ঝুলতে দেখে তার মেয়ে তামান্না (১৬)। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাবুদ্দিন খান বলেন, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পৃথক অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/ বিএম/হাসনা