বিএনএ, যবিপ্রবি: ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ২ বছরের মধ্যে দুর্নীতিমুক্ত এবং ৫ বছরের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ১ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. আব্দুর রহিম। তিনি মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় যশোর প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচী পালন করেন।
তার দাবি ছিল, “আদালতের তত্ত্বাবধানে সকল সরকারি কর্মজীবীদের লাই ডিটেক্টর টেস্ট (এনালগ পলিগ্রাফ টেস্ট) করতে হবে”। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “লাই ডিটেক্টর (Lie Ditector) বা এনালগ পলিগ্রাফ যন্ত্র ব্যবহার করে মিথ্যা সনাক্ত করা হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আর্মেনিয়া, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভারতে তদন্তের কাজে পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন পর্যন্ত পলিগ্রাফ প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী। ওয়্যারড ম্যাগাজিনের ২০১৮ সালের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর আনুমানিক 2.5 মিলিয়ন পলিগ্রাফ পরীক্ষা দেওয়া হয়, যার বেশিরভাগই প্যারামেডিক, পুলিশ অফিসার, অগ্নিনির্বাপক এবং রাষ্ট্রীয় সৈন্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়। পলিগ্রাফ পরীক্ষাগুলি সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ তদন্তে ব্যবহৃত হয়, কোন আসামী বা সাক্ষীকে আদালতের তত্ত্বাবধানে না থাকলে তাকে পরীক্ষা করতে বাধ্য করা যায় না।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রায় সকল ক্ষেত্রের দুর্নীতি এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর করা সম্ভব। এই প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহার হবে সে সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট ধারনা দিয়ে বলেন, এই প্রযুক্তি প্রয়োগের কৌশলের উপরই দেশের উন্নতি নির্ভরশীল। তার কাছে প্রয়োগের বিষয়ে অনেকগুলো আইডিয়া আছে যেগুলো তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চান।
কিভাবে প্রয়োগ করা হবে সে বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প ও রাজস্ব খাতের সকল অর্থ সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পরিশোধিত হয়। অর্থ পরিশোধের পূর্বে উন্নয়ন কাজ সঠিকভাবে হয়েছে কিনা তা তদারকি করেন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা।
এইসব দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে আদালতের তত্ত্বাবধানে পলিগ্রাফ টেস্টে তাদের তদারকিকৃত কাজের বিষয়ে এবং উক্ত কাজের দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে সহজেই দুর্নীতি সনাক্ত করা যাবে। যদি উন্নয়ন প্রকল্পে কোনো ফাঁকিবাজি বা দুর্নীতি হয়ে থাকে তবে তা গোপন করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবি জানিয়ে তিনি সবশেষে বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যাই পারেন দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতেই গড়ে উঠতে পারে দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ।
বিএনএনিউজ/ আরাফাত/ বিএম/এইচমুন্নী