বিএনএ: বিমানের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক করে ৫০ লাখ ডলার দাবি করার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
গত ১৭ মার্চ (শুক্রবার) র্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার হয় বাংলাদেশ বিমানের ই-মেইল সার্ভার। হ্যাকাররা বিমানের ১০০ গিগাবাইটের বেশি ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নেয়ার দাবি করে। বিমানের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক থেকে অনেক তথ্য-উপাত্ত তারা ডাউনলোড করে রাখার কথাও জানায়। এরপর বিমানের কাছে ৫০ লাখ ডলার চাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়।
দাবি না মানলে নিজেদের ব্লগে এগুলো প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দেয় হ্যাকাররা। এরই মধ্যে পাঁচদিন পার হলেও এখনও ই-মেইল সার্ভার উদ্ধার করা যায়নি।
তবে রোববার (২৬ মার্চ) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘বিমানের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক করে ৫০ লাখ ডলার দাবি করার বিষয়টি সঠিক নয়। এ ধরনের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। তবে এ ঘটনায় কারো গাফিলতি আছে কি-না সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
এই সাইবার অ্যাটাকের ঘটনায় তেমন কোন ক্ষতি হয়নি বলেও দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আক্রান্ত সার্ভার পুনরুদ্ধারে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিমানের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ই-মেইল সার্ভার সাময়িকভাবে বন্ধের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। জানানো হয় বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কিছু সংখ্যক কম্পিউটার ও সার্ভার ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয়। সেদিনই সন্দেহযুক্ত সার্ভারটিকে আইসোলেটেড করা হয় এবং ই-মেইল সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও দাবি করা হয়, ‘বিকল্প ব্যবস্থায় বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে চালু আছে।’
বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিমও দাবি করেছেন, ‘ই-মেইল সার্ভারে র্যানসমওয়্যার আক্রমণের ঘটনাটি হ্যাকিং নয়। আক্রান্ত হওয়া সার্ভারটি পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। এ ঘটনায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
বিএনএনিউজ/এ আর