বিএনএ, নোবিপ্রবি : যথাযোগ্য মর্যাদায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। রোববার (২৬ মার্চ) সকালে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।
এসময় নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরসহ নোবিপ্রবি পরিবারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, গার্ড অব অনার প্রদান, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ।
এদিন সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়। শহীদ মিনারে প্রথমে নোবিপ্রবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে নোবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদ, ইনস্টিটিউট, হল, বিভাগ, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারীবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল সাড়ে দশটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়।
নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, “স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। একজন মহান নেতার হাত ধরে স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে একটি স্বাধীন দেশের সৃষ্টি। ২৬ মাচের্র প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় কাঙ্খিত স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়ে গেছেন। আজ জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে, আজকের দিনে এ প্রত্যাশা করি। জাতির পিতাসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। তিনি বক্তব্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সঙ্গে ১৫ আগস্টের সকল শহীদ ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান ভূঁঞা, আইআইটি পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান রিমন, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল মিয়া, নোবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশ ও কর্মচারীদের পক্ষে সোহরাব হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন থেকে এ প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। নতুন প্রজন্ম জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হোক এ প্রত্যাশা করি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র-শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার রায়।
উল্লেখ্য, এর আগে ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও নিষ্প্রদীপকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিএনএনিউজ/ শাফি, বিএম