বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাকিব মিয়া ওরফে ইমন, পিয়াস ফকির, প্রদীপ বিশ্বাস, নাহিদ রায়হান, হেলাল, তূর্ষ মোহস্ত। ভিকটিম নিজেই ধর্ষকদের শনাক্ত করেছেন।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। বলেন, গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সবার বয়স ২২ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে।
র্যাব জানায়, ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা রাকিব মাদরাসা বোর্ড থেকে দাখিল ও আলিম পাস। সে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে রিসিপশনিস্ট হিসেবে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা ছিল। পিয়াস ফকির গোপালগঞ্জের পাওয়ার হাউজে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করে। সে স্কুলের গন্ডি পেরোনো হয়নি তার। প্রদীপ বিশ্বাস পড়াশুনা করেছে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত। হোম সার্ভিসের মাধ্যমে এসি ও ফ্রিজ মেরামতের কাজ করতো সে। নাহিদ রায়হান স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। হেলালও একই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। হেলাল মোবাইল ব্যাংকি প্রতিষ্ঠানে সেলস ড্রিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কর্মরত। তূর্ষ মোহস্ত ২০১৮ সালের খুলনার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা করে। পরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বিদেশে যায়। তবে করোনার প্রকোপ বাড়ায় দেশে ফিরে আসে। গোপালগঞ্জে সে গার্মেন্টস পণ্যের ব্যবসা শুরু করে বলে জানায় র্যাবকে। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
খন্দকার মঈন বলেন, রাকিবের নেতৃত্বে তারা মূলত স্থানীয় একটি অপরাধ চক্র। গোপালগঞ্জের হেলিপ্যাড এলাকায় নিয়মিত আড্ডা, মাদক সেবন ও জুয়া খেলতো তারা। শিক্ষার্থী ও নারীদের ইভটিজিং এবং হেনস্তার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
র্যাব জানায়, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় ওই ছয়জন ইজিবাইক নিয়ে তাদের গতিরোধ করে। প্রথমে তারা দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় জানতে চায়। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকে শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুকে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীর বন্ধুর সাথে ছয়জনের বাকবিতন্ডা চরম পর্যায়ে চলে যায়। তখন তারা মিলে প্রচন্ড মারধর করে শিক্ষার্থীর বন্ধুকে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা। পালাক্রমে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে ধর্ষকরা পালিয়ে যায় বলেও জানায় র্যাব।
ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিএনএ/ এ আর,জিএন