বিএনএ,ফেনী:ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শাওন নামে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শুক্রবার(২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাঙ্গামাটি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।তিনি রাঙ্গামাটির শালবাগান পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।পরে তৌহিদুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)কতুব উদ্দিন জানান,আদালতের নির্দেশে আসামিকে ভোরে রাঙ্গামাটি থেকে গ্রেফতার করে ফেনীর ফুলগাজীতে আনা হয়।এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী নুরুল আবছার চৌধুরী মুকুল জানান, পূর্ব পরিচয়ের সুত্রধরে গত বছরের পহেলা জুন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে পুলিশ সদস্য তৌহিদুল।পরে ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে তাকে ৮ মাস ধরে ধর্ষণ করেছে।পরে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে এ ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়।এরপর জানুয়ারির ২৩ তারিখ ৪ জনের বিরুদ্ধে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা করেন ছাত্রীর মা।চার আসামি হলেন, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শাওন, তার বাবা আমিনুল ইসলাম, মা শানু ও মামা ফিরোজ আহম্মদ বাবু।১১ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।
বৃহষ্পতিবার(২৫ ফেব্রুয়ারি)ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে ২২ ধারায় বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ, ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে কন্যাসন্তানের জন্ম, নবজাতককে গোপনে অন্যত্র দত্তক এবং বর্তমানে পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর নানা ঘটনার বর্ণনা দেয় ওই ছাত্রী।বর্তমানে তার বয়স ১৫ বছর ৪ মাস বলে উল্লেখ করা হয়।
বিএনএনিউজ/এ,জাফর,আরকেসি