বিএনএ, ডেস্ক : বাংলাদেশে একটি পরিচিত তরকারির নাম হচ্ছে কচুরমুখী। মাটির নিচে থাকা সুস্বাদু এই সবজি হচ্ছে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। আমাদের দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কম-বেশি এর চাষাবাদ। সারা বছর এটি পাওয়াও যায় সুলভমূল্যে। কচুরমুখী দিয়ে রান্না তরকারি খেতেও কিন্তু দারুণ। শুধু স্বাদেই নয়, কচুরমুখী গুণেও অনন্য একটি সবজি। চলুন জেনে নিই কচুরমুখীর কিছু গুণাগুণ সম্পর্কে। পূর্ণবয়স্ক মানুষের সারাদিনের চাহিদার প্রায় ২৭ শতাংশ ফাইবার থাকে কচুরমুখীতে। এ কারণে এটি হজমে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি অতিরিক্ত গ্যাস, কোষ্টকাঠিন্যসহ বিপাকেও সহায়তা করে। এমনকি ডায়েরিয়ার জন্যও এটি বেশ উপকারি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কচুরমুখীর জুড়ি মেলা ভার। এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কচুরমুখীতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা শরীরের কার্যক্ষমতার জন্য দারুণ কার্যকরী।
কচুরমুখী মানুষের হƒদরোগের ঝুঁকিও কমায়। এটি শরীরের রক্ত চলাচল সহজ করে। এ ছাড়া পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। কচুরমুখীতে থাকা আয়রন ও কপার রক্তে লোহিত কণিকা তৈরিতে সহায়তা করে। এ কারণে কচুরমুখী রক্তস্বল্পতা দূর করতে দারুণ কার্যকরী। এই কচুরমুখীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে থাকে।
এতে বিদ্যমান উচ্চমানের ভিটামিন এ, সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেল বা কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচায়। এ ছাড়া কচুরমুখীতে বিদ্যমান ভিটামিন ই এবং এ ত্বক সুরক্ষায় দারুণভাবে কাজ করে।
কচুরমুখীতে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে বেশ কার্যকরী। কচুরমুখীতে থাকা উপকারি ফাইবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভ‚মিকা রাখে। কচুরমুখীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
