বিএনএ,ঢাকা: বাংলাদেশের প্রথম সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ৫৭তম বর্ষপূর্তি আজ। ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর তৎকালীন ঢাকা শহরের ডিআইটি ভবনের নিচতলায় এনইসি (নিপ্পন ইলেকট্রিক কোম্পানি) জাপানের সহায়তায় বাংলাদেশ টেলিভিশন বা বিটিভির যাত্রা। তখন নাম ছিল পাকিস্তান টেলিভিশন। ১৯৬৭ সালে টেলিভিশন করপোরেশন ও স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে সরকারি গণমাধ্যমে রূপান্তরিত হয় বিটিভি।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৫টায় বঙ্গবন্ধু কর্নার, ‘রং-তুলিতে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী এবং বিটিভি এইচডি সম্প্রচার উদ্বোধন হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেন।
১৯৬৪ সালে যাত্রার দিন থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বিটিভির পর্দা ছিল সাদাকালো ধারায়। ওই বছর ২৫ ডিসেম্বর থেকে বিটিভিতে রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা হয়। ২০০৩ সালে এসে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামে পৃথক স্টেশনসহ দেশজুড়ে ১৪টি রিলে স্টেশনের মাধ্যমে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ৯৩ শতাংশ এলাকায় পৌঁছে যায় বিটিভির অনুষ্ঠানমালা।
শুরু থেকেই বিটিভি টেরিস্ট্রিয়াল বা ভূকেন্দ্রিক সম্প্রচার করে। ফলে সাধারণ অ্যান্টেনার মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকে বিটিভির সম্প্রচার উপভোগ করা সম্ভব হয়। ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল থেকে স্যাটেলাইট সম্প্রচারে যাত্রা করে বিটিভি ওয়ার্ল্ড। পাশাপাশি টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার কেবল নেটওয়ার্কেও যুক্ত হয়। বর্তমানে একইসঙ্গে স্যাটেলাইট ও টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচারে থাকা দেশের একমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি। একসময় মাত্র ছয় ঘণ্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা বিটিভি বর্তমানে ১৭ ঘণ্টার টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার এবং ২৪ ঘণ্টার স্যাটেলাইট সম্প্রচারে থাকছে।
আশির দশকে বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ও নাটক অভূতপূর্ব দর্শকপ্রিয়তা পায়। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘যদি কিছু মনে না করেন’, ‘কথার কথা’, ‘ইত্যাদি’ প্রভৃতি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়।
বিএনএ/এমএফ