বিএনএ,ডেস্ক: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিনের উৎসব চলছে।করোনা মহামারির কারণে যদিও এবার সীমিতভাবে উৎসব উদযাপিত হচ্ছে।সংক্রমণ রোধে এরইমধ্যে বিভিন্ন দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।তাই বড়দিনের আয়োজন কিছুটা ম্লান। নেই কোন চিরচেনা উচ্ছ্বাস।করোনা আবহে অনেকটা ভিন্নভাবেই উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবটি।
যতটুকু আয়োজন তাতেও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।তবে,বিধিনিষেধ মেনেই দেশের চার্চ ও ঐহিত্যবাহী স্থাপনার পাশাপাশি ঘরবাড়ি সাজানো হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়।
এদিকে, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, বার্লিন, স্টকহোম, লিসবন ও টোকিওসহ বিশ্বের বড় বড় নগরীতে আলোয় সুসজ্জিত ক্রিসমাস ট্রি শোভা পাচ্ছে।দর্শনীয় স্থান ও শপিংমলগুলোতে দেখা মিলছে সান্তা ক্লজের। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিশুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন সান্তা ক্লজ।বিধিনিষেধ শিথিল করায় বেলজিয়ামে দোকানপাট খুলেছে।ব্রাসেলসে ক্রিস্টমাস ট্রিসহ বিভিন্ন জায়গায় বড়দিনের সাজসজ্জা করা হয়েছে।তবে করোনার বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও, মহামারির মধ্যেই ক্রোয়েশিয়া ও ইতালিতে বড়দিন উদযাপিত হচ্ছে।নানা ধরনের উপহারের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানগুলো।বড়দিন ও নতুন বছরের বর্ণিল সাজে তুষার শুভ্র রাশিয়ার মস্কোর নিকোলস্কায়া হয়ে উঠেছে অপরূপা।সেন্ট্রাল স্কয়ারের পাশাপাশি মানেঝনায়া স্কয়ারে চলছে ঐতিহ্যবাহী ক্রিস্টমাস মেলা।তবে,বেশিরভাগ শহরেই ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে, ‘বড়দিন’ সামনে রেখে কয়েকদিন আগে থেকেই বিশ্বের অনেক দেশে নাগরিকদের সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।বন্ধ রাখা হয়েছে রেস্তোরাঁ, পানশালা ও ক্লাবগুলো।ইউরোপের কয়েকটি দেশে ‘বড়দিন’ ও ‘নতুন বছর’ উদযাপন ঘিরে লকডাউনও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি