27 C
আবহাওয়া
১২:০৯ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস(২০২৩ আপডেট)

ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস(২০২৩ আপডেট)

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল

আরব রাষ্ট্রগুলো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত নানা উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি। বরং দশকের পর দশক ধরে সেখানে নতুন মাত্রায় সংঘাত চলছে। এর পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য  তাদের মিত্র ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষায় সব উদ্যেগ কৌশলে ব্যর্থ করে দেয়।কারণ এ সব দেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোম্পানীগুলোর নেতৃত্ব দেন ইহুদীরা। ব্রিটেনের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনি ভূমিতে উড়ে এসে জুড়ে বসেছিল ইহুদীরা।

ফিলিস্তিনি ভূমি পুনরুদ্ধার,স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইহুদি ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে কঠোর কোন যৌথ পদক্ষেপ নিতে পারে নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্রসমূহ। এমনকি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স(ওয়াইসিও)। তাই শত বছর ধরে ফিলিস্তিনিরা নিজভূমে পরাভূত।

মধ্যপ্রাচ্য সংকটের মূল কারণে থাকায় ইসরাইলকে  মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোড়া বলা হয়।

এই বিষফোড়া রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর যাতাকলে নিপীড়িত,নির্যাতিন মজলুম ফিলিস্তিনিরা। তারা হতভাগ্যই বটে। তারা প্রায় এক শতক ধরে নিজেদের ভূখণ্ডে দখলদার ইহুদিদের হাতে ২৪ ঘণ্টা মার খাচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ঝরছে রক্ত। নেই কোন স্বাধীনতা। লাশের পর লাশ।লাশ দাফনের জায়গা নেই। ফিলিস্তিনিরা আজও মরছে, আহত হচ্ছে।কেউ স্বামী হারা, কেউ স্ত্রী হারা,কেউ সন্তান হারা, কেউ ভাই, বোন হারা। ফিলিস্তিনিদের গতিবিধি, কথা বার্তা ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করে ইহুদীরা। স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্র ছাড়া এ জাতির কপালে শান্তি নেই।

অটোমান সাম্রাজ্য- ব্রিটিশ শাসন

ফিলিস্তিন ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে। আরব মুসলমানেরা ছিল সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী।
বিশ শতকের শুরুর দিকে অটোমান সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সুযোগে ইউরোপীয় শক্তিগুলো তাদের প্রভাব বাড়ায়। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমানদের বিরুদ্ধে আরবদের বিদ্রোহে নামায় ব্রিটিশ সরকার। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইহুদিদেরও গোপনে আশ্বাস দেয় ব্রিটিশ নেতারা।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার বেলফোর ঘোষণায় ফিলিস্তিনে ‘ইহুদিদের একটি জাতীয় বাসস্থান’ প্রতিষ্ঠায় সমর্থন জানায়। অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হলে ফিলিস্তিনির ম্যানডেট পায় ব্রিটিশরা। ফিলিস্তিনে দলে দলে অভিবাসী ইহুদি আসতে থাকে। বিরোধিতা সত্ত্বেও সেখানে তাঁরা বসতি গড়ে তোলে। এরপর ১৯২০, ’২১, ’২৮, ’২৯ ও ’৩৬ সালে আরবদের সঙ্গে ইহুদিদের সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

১৯৩৩ সালে অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির ক্ষমতায় এলে ইহুদিদের ওপর নিপীড়ন শুরু হয়। সেখানকার ইহুদিরা পালিয়ে ফিলিস্তিনে চলে যায়। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের তৎপরতা আরও বেড়ে যায়। ব্রিটিশ শাসন ও ইহুদি দখলদারির বিরুদ্ধে ১৯৩৬-১৯৩৯ সালে সংঘটিত হয় আরব বিদ্রোহ। ওই বিদ্রোহ দমন করা হয়। নিহত হয় পাঁচ হাজার আরব।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিন নিয়ে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে বৈরিতা বেড়ে যায়। ফিলিস্তিনের ওপর ম্যানডেট ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ সরকার। একই সঙ্গে এই ভূ-ভাগ্য নির্ধারণে সদ্যগঠিত জাতিসংঘকে অনুরোধ জানানো হয়।

১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে এক ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনকে দুই টুকরো করে পৃথক ইহুদী এবং আরব রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয় যেখানে জেরুজালেম থাকবে একটি আন্তর্জাতিক নগরী হিসেবে। ইহুদী নেতারা এই প্রস্তাব মেনে নেন, কিন্তু  আরব নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করেন।

ব্রিটিশরা এই সমস্যার কোন সমাধান করতে ব্যর্থ হয়ে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ছাড়ে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নীলনকশায় ইহুদিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হয়।

যেভাবে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা

১৯৪৮ সালের ১৪ মে ব্রিটিশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনির ম্যানডেট ছেড়ে দেয়। ওই দিনই ইহুদি নেতারা ইসরায়েল রাষ্ট্রের ঘোষণা দেন। পরদিন আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বেধে যায়। যুদ্ধে আরবরা পরাজিত হয়। উপরন্তু প্রস্তাবিত আরব রাষ্ট্রের একটা বড় অংশ দখল করে ইসরায়েল। এসময়  সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী হয়।

বহু ফিলিস্তিনি এর প্রতিবাদ জানালে শুরু হয় যুদ্ধ। হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘরবাড়ি ফেলে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। ফিলিস্তিনিরা এই ঘটনাকে ‘আল নাকবা’ বা ‘মহা-বিপর্যয়’ বলে থাকে।

পরের বছর যুদ্ধবিরতির মধ্যদিয়ে যুদ্ধ শেষ হয়। ততদিনে ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ অঞ্চল ইসরাইল রাষ্ট্রের দখলে যায়। ১৯৬৭ সালে আরেকটি আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পূর্ব জেরুজালেমসহ বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নেয় ইসরাইয়েল।

মিত্রদের সহযোগিতা ও আশকারায় দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে ইসরায়েল।

স্বাধীনতা ঘোষণার পর স্বীকৃতি আদায় করতেও বেগ পেতে হয়নি তাদের, ১৯৪৮ সালের ১৭ মে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েলকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। ১৯৪৯ সালের মার্চে তুরস্ক ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।

ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি কট্টরপন্থিদের প্রচণ্ড বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৯৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন ও ইয়াসির আরাফাত ওয়াশিংটনে অসলো শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন নিয়ে আলোচনা না হলেও সার্বভৌম ফিলিস্তিন গঠনের পক্ষে ইসরায়েলিদের প্রচ্ছন্ন সায় ছিল। ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে সহানুভূতিশীল হওয়ায় ১৯৯৫ সালের ৪ নভেম্বর তেল আবিবে খুন হন  আইজ্যাক রবিন। এর ১৪ বছর পর ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর ইয়াসির আরাফাত ইন্তেকাল করেন। ফলে এ দুই ভূখণ্ডের মানুষের মধ্যে শান্তি আলোচনাও পিছিয়ে যায়। ২০০৫ সালে ফিলিস্তিনিরা গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে। বহু প্রাণের বিনিময়ে গাজা থেকে দখলদারদের হটাতে সক্ষম হয়।

গাজা উপত্যকার হতভাগ্য মানুষ

২০০৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে হামাস বিপুল জনসমর্থন নিয়ে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা সংগঠনটিকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে সব রাজনৈতিক সংলাপ, সমাধানের পথ বন্ধ করে দেয়।  গাজায় অবরোধ আরোপের মাধ্যমে শুরু হয় আরেক রক্তাক্ত ইতিহাসের। ২০০৮, ২০১২, ও ২০২২ সালে ইসরায়েলিদের বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে  গাজা উপত্যকার হতভাগ্য মানুষ।

২০০৬ থেকে অবরুদ্ধ গাজা এক ভয়াবহ মৃত্যু উপত্যকা। সমগ্র পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে নৃশংস হামলা চালানো হচ্ছে এ জনগোষ্ঠীর ওপর। বোমায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের বাড়িঘর, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাটসহ সব অবকাঠামো।

২০১২ সালের নভেম্বরে গাজায় অভিযান চালায় ইসরায়েল। তখন আট দিনের মাথায় মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।

গত ৫০ বছর ধরেই ইসরায়েল এসব দখলীকৃত এলাকায়  ইহুদী বসতি স্থাপন করছে। ৬ লাখের বেশি ইহুদী এখন এসব এলাকায় বসবাস করছে। ফিলিস্তিনিরা বলছে, আন্তর্জাতিক আইনে এগুলো অবৈধ বসতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে মূল অন্তরায়।

 

তিনটি যুদ্ধ

আরব-ইসরায়েলের মধ্যে ১৯৫৬, ১৯৬৭ ও ১৯৭৩ সালে তিনটি যুদ্ধ হয়। এতে ফিলিস্তিনের ভাগ্যে দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই জোটেনি।

পিএলও

মুক্তির সংগ্রামের লক্ষ্যে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও)। ১৯৬৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ইয়াসির আরাফাত ছিলেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান। তিনি ফিলিস্তিনের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দল ফাতাহরও নেতা ছিলেন।

১৯৮৭ সালে গঠিত হয় হামাস

ইসরায়েলি দখলদারির অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করতে ১৯৮৭ সালে গঠিত হয় হামাস। তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সামরিক শাখা রয়েছে। কট্টরপন্থী সংগঠনটি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না।

ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে

ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ফিলিস্তিনের দুই অংশ পশ্চিম তীর ও গাজা ২০০৭ সালের আগস্টে চলে যায় দুটি দলের নিয়ন্ত্রণে। সেই থেকে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ পশ্চিম তীরে ও খালেদ মেশালের নেতৃত্বে হামাস গাজা শাসন করছিল। এই অবস্থায় গত এপ্রিলে দুই দলের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী নতুন করে নির্বাচনের পর চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা। কিন্তু হামাস-ফাতাহর চুক্তিকে ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। তাদের মতে, হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন। হামাস-ফাতাহ জাতীয় ঐক্যের সরকার হলে সেই সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসবে না বলে জানিয়ে দেয় ইসরায়েল।

জেরুজালেম

ইসরায়েল  পুরো জেরুজালেম নগরীকেই তাদের রাজধানী ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায়।

জেরুজালেম পৃথিবীর ইতিহাসে একটি আলোচিত নগরী। তিনটি  ধর্ম তথা ইসলাম, ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাসীদের পবিত্রতম স্থান এটি। জেরুজালেম নিয়ে পৃথিবীতে ধর্মীয় সংকট সৃষ্টি হয় অনেকবার। জেরুজালেম নিয়েই খ্রিস্টপূর্ব আটশো  খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিল। রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও ধর্মীয় আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে জেরুজালেম ছিল যুগে যুগে মূল আলোচনার  কেন্দ্রবিন্দু। পৃথিবীর আদিকাল থেকেই সকল পরাশক্তিগুলো জেরুজালেম দখলে তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে। মুসলমান শাসকরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল।তবে বিনা রক্তপাতে তা দখলে নিয়েছিল।

ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধ

২০১৪ সালে ৫০ দিনে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫০০ শিশু, ১ হাজার ৪৬২ বেসামরিক মানুষসহ ২ হাজার ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ‘অপারেশন প্রোটেকটিভ এজ’ নামে পরিচিত ইসরায়েলের এ আগ্রাসনে অন্তত ১১ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়। ধ্বংস করা হয় প্রায় ২০ হাজার ঘরবাড়ি। বাস্তুহারা হয় অন্তত ৫ লাখ মানুষ।

২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক ক্ষুব্ধ  হামলা চালানোর পর, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে।ইসরাইলী গণহত্যায়  ৪৫দিনে ১৪হাজারের বেশি শিশু,নারী ও পুরুষ প্রাণ হারায়। কত আহত পঙ্গু হয়েছে তার কোন সঠিক হিসেবে মিলেনি(২৩/১১/২০২৩)।

প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসবাসের শহর গাজা থেকে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। অর্থাৎ অবরুদ্ধ এই উপত্যকার প্রায় অর্ধেক মানুষই বর্তমানে বাস্তুচ্যুত।

এটি দ্বিতীয় ‘নাকবা’

অনেকেই বলছেন, এটি দ্বিতীয় ‘নাকবা’। এটা প্রথম বিপর্যয়ের চেয়ে আরও ভয়াবহ হবে।

একসময় আদিবাসী ফিলিস্তিনিদের বসবাস ছিল গাজা , পশ্চিম তীর, জেরুজালেম এবং জর্ডান নদী ও ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী  যেখানে ইসরাইল নামক নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত।অথচ এখন অধিকাংশ ফিলিস্তিনিকে থাকতে হয় শরণার্থী শিবিরে। যদিও জেরুজালেমের বেশিরভাগ অধিবাসী ফিলিস্তিনি,ইহুদিরা সেখানে তাদের সরকারের সহযোগিতায় জোর করে বসতি স্থাপন করছে।রাতারাতি, পানি,বিদ্যুত ও গ্যাস লাইন কেটে দিয়ে ফিলিস্তিদের পিতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ করছে ইহুদিরা। রাতের বেলায় ইহুদিরা এ সব আকাম করে যায়, আর ফিলিস্তিনিরা এর প্রতিবাদ প্রতিশোধ নিতে গেলে ইসরাইল সরকার সেনা বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষকে মোকাবেলা করে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে। আর তাদের অবৈধ কর্মকান্ডকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব।

ফিলিস্তিনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়,

অস্ত্র নয়, কালেমা, আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে আজও টিকে রয়েছে ফিলিস্তিনি মুসলমানরা।

সূত্র: আন্তর্জাতিক মিডিয়া।

সৈয়দ গোলাম নবী,বিএনএনিউজ

Loading


শিরোনাম বিএনএ