27 C
আবহাওয়া
১২:০১ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাবিতে শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

রাবিতে শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

রাবিতে শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, “মুক্তি সংগ্রামে এক নির্ভীক যোদ্ধা ছিলেন অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ুম। আমরা হয়তো এখন অনেক কিছু হতে পারব কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা কিংবা শহীদ হতে পারব না। তাই শহীদের মর্যাদা ও সম্মান সবার উর্ধ্বে।”

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য আরও বলেন, “অধ্যাপক কাইয়ূম ছাত্ররাজনীতি সচেতন ছিলেন এবং তৎকালীন শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেছিলেন। তাই মাত্র ৩২ বছর বয়সে স্বাধীনতা বিরোধীরা তাঁকে হত্যা করে। আমরা তাঁর মৃত্যুকে অকাল প্রয়াণ বলে থাকি। তিনি ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও বলিষ্ঠ। মুক্তি সংগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ভীক যোদ্ধা শহীদ শামসুজ্জ্বোহা ও মীর আব্দুল কাইয়ুমসহ অনেকে হয়ে আছেন স্মরণীয়। যাদের রক্ত আমাদের প্রেরণা জোগায়।”

স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক এম. হুমায়ুন কবীর এবং মূখ্য আলোচক হ ছিলেন বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা।সভাপতিত্ব করেন মীর আব্দুল কাইয়ূমের কন্যা, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া।

অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা বলেন, “মুক্তির আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয় যাঁদের হারিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ূম অন্যতম। একাত্তরের এই দিনে ঘাতকেরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় তাঁকে হত্যা করে। এলোপাতাড়ি মারধর কিংবা গুলি করে তাঁকে হত্যা করা হয়নি। একেবারে আটঘাট বেঁধে তাকে হত্যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কালো অধ্যায় রচনা করে এই ঘাতক গোষ্ঠী। এখনও তারা সুযোগ পেলেই ছোবল মারে।”

মীর আব্দুল কাইয়ূমের কন্যা অধ্যাপক মাহবুব কানিজ কেয়া বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় ছিল। ফলে স্বাধীনতার এতো বছর পরেও এখানে মুক্তিযুদ্ধোরা প্রকৃত সন্মান থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীলরা ক্ষমতায় থাকতেও হত্যাকারীদের হত্যাকারী বলতে পারিনি। শহীদদের প্রতি সেদিনই যথাযথ সম্মান দেখানো হতো, যেদিন এই হত্যাকারী ও রাজাকারদের ছবি নিয়ে ঘৃণা স্তম্ভ করা হতো। তাই সময় এসেছে এদের চিহ্নিত করে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার, যাতে তারা জানতে পারে—কারা স্বাধীনতা বিরোধী এবং কারা ছিলেন স্বাধীনতার পক্ষে।”

শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ুম ১৯৬৬ সালে মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর রাজশাহী শহরের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

বিএনএ/সাকিব, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ