বিএনএ, রাঙামাটি: হ্রদ পাহাড়ের জেলা রাঙামাটি। অসাম্প্রদায়িক জেলার অন্যান্য উদাহরণ এটি। একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সকল সম্প্রদায়ের বসবাস। কিন্তু বিগত কয়েকদিনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বিষাদময় করে তুলেছে পাহাড়, নিচু হয়ে পড়েছে সকলের মাথা। তবে থমথমে পরিস্থিতি কাটিয়ে এবার চেনা চেহেরায় ফিরছে রাঙামাটি। পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
১৪৪ ধারা ও পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার, তিনদিনের অবরোধ শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে মানুষ। শহরে চলছে যানবাহন, খুলছে দোকানপাট ও বাজারে বাড়ছে মানুষের ভীড়।
অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনায় ৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ কমিটি। জেলা প্রশাসনের কোর কমিটি থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের ভবনে রাখা নয়টি গাড়ি, বনরূপা বাজারে একটি মাইক্রোবাস, কালিন্দীপুরে দুটি মাইক্রোবাস, ১০ টি মোটরসাইকেল, নয়টি গাড়ি, ছয়টি সিএনজি অটোরিকশা, ছয়টি ট্রাক, তিনটি বাস, দুইটি টু স্ট্রোক গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে ৮ টি ব্যাংকে।
তাছাড়া ১৮ টি বাড়ি, ৮৯ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ৮৫ টি ভাসমান দোকান, ২ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, একটি মসজিদ, একটি বৌদ্ধবিহার ও একটি আসবাবের দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে এবং একটি ট্রাফিক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে মোট নয় কোটি ২২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জানা যায়, সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়া সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ কমিটি তালিকা তৈরি করে তা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। সহিংসতায় মোট ৯ কোটি ২২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে পার্বত্য জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিরতা ও বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন।
বিএনএনিউজ/ কাইমুল ইসলাম ছোটন/ বিএম/এইচমুন্নী