22 C
আবহাওয়া
৮:১৫ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিগনেচার ফি নেওয়া প্রসঙ্গে ব্যাখা দিল রাবি প্রাধ্যক্ষ পরিষদ

সিগনেচার ফি নেওয়া প্রসঙ্গে ব্যাখা দিল রাবি প্রাধ্যক্ষ পরিষদ

রাবিতে নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলোতে ফরম পূরণে স্বাক্ষর বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি অযৌক্তিক দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ)ও এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জয়ন্তী রানী বসাক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৫০ টাকার সিগনেচার ফি প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রাধ্যক্ষদের স্বাক্ষর বাবদ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়া প্রসঙ্গে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কতিপয় শিক্ষার্থীর বিভ্রান্তিকর মন্তব্য প্রাধ্যক্ষ পরিষদের নজরে এসেছে। অনেক শিক্ষার্থী এই ৫০ টাকা নেওয়ার ব্যাপারে অপ্রত্যাশিত ও অশোভন মন্তব্যও করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ২০২২ সাল থেকে পরীক্ষার ফরম পূরণকালে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে হলের উন্নয়ন/বিবিধ ফান্ডের মাধ্যমে এই অর্থ নেওয়া হচ্ছে, যা আবাসিক শিক্ষার্থীদের কল্যাণে হলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন, বাৎসরিক অনুষ্ঠান, ডাইনিং কর্মচারীদের বেতনে ভতুর্কী, তৈজসপত্র ক্রয়সহ বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে ব্যয় করা হয়। শিক্ষার্থীদের অনেকেই এসব বিষয় সম্পর্কে অবহিত নয় বলেই এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই বক্তব্যের পর হল প্রশাসন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাবে এবং এরূপ মন্তব্য করা থেকে তাদেরকে বিরত রাখবে বলে প্রাধ্যক্ষ পরিষদ আশা করে।

তবে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রাধ্যক্ষ পরিষদের ব্যাখ্যা অযৌক্তিক। বিভিন্ন প্রোগ্রামে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অথচ আবাসিক শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক অনুষ্ঠান, ডাইনিং কর্মচারীদের বেতনে ভতুর্কী, তৈজসপত্র কিনতে আমাদের টাকা দিতে হবে কেন? আমাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে রাকসু ফি, হল সংসদ ফি নিচ্ছে প্রশাসন। এ টাকা নিয়েও হচ্ছে না তাদের?

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, যে শিক্ষার্থী হলে থাকে না তার কাছ থেকে হলের উন্নয়ন বাবদ টাকা নেওয়া অযৌক্তিক। অবিলম্বে এটি বাতিল করা হোক।

বিএনএ/সাকিব, এমএফ/এইচ এ মুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ