বিএনএ ঢাকা: চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই বাংলাদেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো থেকে কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকবে না বলেও জানান তিনি।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর ) ঢাকায় টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-টিআরএনবি আয়োজিত ‘ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোস্তফা জব্বার।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব যখন ২০১৮ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছিল বাংলাদেশ তখন এই প্রযুক্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এর ধারাবাহিকতায় গত তিন বছরে ফাইভ-জি প্রযুক্তির নীতিমালা প্রণয়ন ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য বিষয় নিয়ে বহুপাক্ষিক আলোচনা ও বিচার বিশ্লেষণ করা হয়। এরপরই ফাইভ-জি যুগে প্রবেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মোস্তফা জব্বার বলেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা। এর মাধ্যমে দেশের জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো। এই প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্পবিপ্লব কিংবা সোস্যাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরোতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসির কমিশনার ও ফাইভ-জি নীতিমালা প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এ কে এম শহীদুজ্জামান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দীন, এমটব চেয়ারম্যান ও বাংলালিংকের সিইও এরিক অস, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, হুয়াওয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগোয়ান জিও, এরিকসনের কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুস সালাম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি