বিএনএ ডেস্ক: সব ধরনের মতভেদ ভুলে সম্মিলিত শক্তি কাজে লাগিয়ে একটি সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোভিড মুক্ত বিশ্ব গড়তে, টিকা বৈষম্য দূর করার আহ্বানও জানান তিনি।
শুক্রবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর ) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশে করোনা মহামারির প্রকোপ আশঙ্কার চেয়ে অনেক কম হয়েছে। এ মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের সময়োচিত, সমন্বিত ও বহুমুখী উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কেবল মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই এর একমাত্র সমাধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা, দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস, নারীর ক্ষমতায়নসহ অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। ব্যাপকভাবে ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী’ কর্মসূচির সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ‘টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২১’ অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার সূচকে বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে। এ সাফল্যের মূলে রয়েছে নারীর উন্নতি ও ক্ষমতায়নে বিপুল বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ রূপান্তরসক্ষম উন্নয়নে বিপুল অবদান রেখেছে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশ ও ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ও টেকসই বদ্বীপে রূপান্তর করাই তার সরকারের লক্ষ্যবলে জানান তিনি।
আফগানিস্তান ইস্যুতেও কথা বলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।তিনি বলেন, দেশটির আর্থসামাজিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। সার্বজনীন বিষয়ে বিশ্বের সব দেশকে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদও দেন শেখ হাসিনা।
কোভিড মহামারির ভয়াবহতা থেকে উত্তরণের চেষ্টার মধ্যেই এবারের অধিবেশন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে এতে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৭ তম বারের মতো বাংলায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তার দেয়া এ ভাষণে উঠে আসে দেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির উপাখ্যানসহ বৈশ্বিক কোভিড বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক নানা সংকট।
বিএনএনিউজ/আরকেসি