বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: আফগানিস্তানে মৃত্যুদণ্ড ও হাত-কাটার মতো কঠিন শাস্তি বাস্তবায়ন শুরু করতে যাচ্ছে তালেবান। বর্তমানে কারাগারের দায়িত্ব পাওয়া তালেবানের ধর্মীয় পুলিশের সাবেক প্রধান মোল্লা নুরুদ্দিন তুরাবি বলেন, নিরাপত্তার জন্য অঙ্গহানির মতো শাস্তি প্রয়োজনীয়। যারা চুরি করবে এবং তা সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রমানিত হলে হাত কেটে দেয়া হবে। কঠোর শাস্তি সত্ত্বেও টেলিভিশন, মোবাইল ফোন ব্যবহার, ছবি ও ভিডিও নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা এই তালেবান নেতা বলেন, সাজা প্রকাশ্যে নাকি আড়ালে দেয়া হবে, তা নিয়ে তালেবান মন্ত্রিসভায় আলোচনা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর আগের আমলে তালেবানের সাজার ধরণ নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ ছিল, তা উড়িয়ে দিয়ে তুরাবি বলেন, আইন কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
গেল ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর আগের মেয়াদের চেয়ে শাস্তির ব্যাপারে তাদের সুর অনেকটা নরম দেখা গেছে। তালেবানের কাবুল নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আগে বালখে তাদের বিচারক হাজি বদরুদ্দিন বলেন, ইসলামিক আইনের আক্ষরিক ও কঠিন ব্যাখায় সমর্থন করছেন। শরিয়ায় এটি পরিষ্কার বলে দেয়া আছে, যারা ব্যাভিচার করবে—হোক তারা নারী কিংবা পুরুষ—তাদের প্রকাশ্যে একশটি বেত্রাঘাত খেতে হবে। কিন্তু যারা বিবাহিত হওয়ার পরেও এমন অপরাধে যুক্ত থাকবে, তাদের পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে।
১৯৯০-এর দশকে তালেবানন শাসনামলে কাবুল স্টেডিয়াম কিংবা বড় কোনো মাঠে এ ধরনের সাজা কার্যকর করা হতো।
বিএনএনিউজ/আরকেসি