ফেনী : বন্যার পানি জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়ার পর ফেনী সদরেও ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। তবে, দাগনভূঞা ও সোনাগাজীতে বন্যার পানি বাড়ছে। এ পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষকে বন্যাদুর্গত অঞ্চল হতে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রসহ নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।
শনিবার(২৪ আগস্ট, ২০২৪) সন্ধ্যায় ফেনী জেলা প্রশাসন সূত্র এ সব তথ্য জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজারের অধিক মানুষের কাছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ইতোপূর্বে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি থাকার তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্র জানায়, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খিচুড়ী ও শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি বন্যাদুর্গত এলাকার নিকটবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা সুবিধাজনক উঁচু ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অভিষেক দাশ জানান, উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন।
স্বেচ্ছাসেবক শরীফুল ইসলাম অপু জানান, ফেনীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছাড়াও জেলার বাইরে থেকে প্রায় ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্যার্তকে উদ্ধারে নৌকা এবং প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার সরবরাহ করেছে।
জেলা প্রশাসক জানান, এপর্যন্ত সাড়ে ৫০০ টন চাল এবং ১০ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলার অধিকাংশ এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল রয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ দুই-তৃতীয়াংশ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে জনদুর্ভোগসহ সংবাদকর্মীদের বার্তা প্রেরণে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পানির হিস্যা দিতে হবে : আমির খসরু
বিএনএ,এসজিএন