বিএনএ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা সাঈদা আক্তার ধর্ষণ মামলা করেছেন।আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।এর আগে কাউন্সিলর খোরশেদকে স্বামী দাবি করে তাকেসহ দুজনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করে সাঈদা আক্তার আলোচনায় এসেছেন।
বুধবার(২৫ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল মামলাটি গ্রহণ করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাঈদা আক্তারের বিয়ের পর প্রথম স্বামীর সংসারে তার ৩টি সন্তান রয়েছে। বনিবনা না হওয়ায় প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে কাউন্সিলর খোরশেদ তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। একপর্যায়ে গত বছরের ২ আগস্ট বিকালে সাঈদা আক্তারের কাঁচপুরে অবস্থিত এসএস ফিলিং স্টেশনে খোরশেদ একজন লোক নিয়ে যান। সেই লোককে কাজী বলে সাঈদাকে পরিচয় করিয়ে দেন খোরশেদ। এরপর সেই কাজী তার রেজিস্ট্রারে সাঈদার স্বাক্ষর নিয়ে বলেন আপনারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
ওই রাত ১১টায় সাঈদা আক্তারের নিজ বাসায় বাসরের নামে খোরশেদ তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করেছেন। তারপর থেকে প্রায়ই তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর দাবিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে খোরশেদের কাছে একাধিকবার সাঈদা আক্তার বিয়ের কাবিননামা চান। খোরশেদ কাবিননামা না দিয়ে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রাত ১১টায় আবারো সাঈদা আক্তারের বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, সাঈদা মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাকে বিয়ে করতে চায়। যত মামলাই দিক না কেন আমি তাকে বিয়ে করব না। আমার ঘরে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে।
বিএনএ/ ওজি